দাগনভূঞায় নড়বড়ে সাঁকোই ৫০ হাজার মানুষের ভরসা • নতুন ফেনীনতুন ফেনী দাগনভূঞায় নড়বড়ে সাঁকোই ৫০ হাজার মানুষের ভরসা • নতুন ফেনী
 ফেনী |
২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দাগনভূঞায় নড়বড়ে সাঁকোই ৫০ হাজার মানুষের ভরসা

রাশেদুল হাসানরাশেদুল হাসান
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০১:১০ অপরাহ্ণ, ১৭ মার্চ ২০১৭

নতুন ফেনী ডেস্ক>>
ছোট ফেনী নদীর ওপর প্রায় ৩০০ ফুট লম্বা একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। এর ওপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। দাগনভূঁঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের উত্তর কৈখালী ও সেকান্দরপুর, ফেনী সদর উপজেলা শর্শদী ইউনিয়নের উত্তর আবুপুর এবং কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের দক্ষিণ বান্দেরজলা গ্রামের সীমান্ত এলাকায় এই সাঁকোর অবস্থান। বিকল্প না থাকায় এলাকার ৫০ হাজার মানুষ এই সাঁকো ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সাঁকোর ওপর দিয়ে দাগনভূঁঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের উত্তর কৈখালী, দক্ষিণ কৈখালী, কৌশল্যা, নারায়ণপুর, সাদেকপুর, সেকান্দরপুর; ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের উত্তর আবুপুর, দক্ষিণ আবুপুর, এলাহিগঞ্জ; কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের বাকগ্রাম, দক্ষিণ বান্দেরজলা, উত্তর বান্দেরজলা, আলকরা, ধোপাখিলা, নারায়ণকুরি এবং গুণবতী ইউনিয়নের আকদিয়া, চাঁপালিয়াপাড়া, বৈধড়া, খাডরা, গুণবতী গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকে। তারা বলেন, সাঁকোর জায়গায় সেতু নির্মাণ করা হলে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বক্সগঞ্জ এলাকার মানুষও সেতুটি ব্যবহার করে সহজে ফেনী যাতায়াত করতে পারবে।
উত্তর সেকান্দরপুর গ্রামের মো. হাসান বলেন, প্রতিবছর বর্ষার সময় পাহাড়ি ঢলের তোড়ে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো ভেসে যায়। বর্ষা শেষে আবার আশপাশের গ্রামের লোকজন চাঁদা তুলে সাঁকো নির্মাণ করে। এভাবেই চলছে যুগের পর যুগ।
ফেনী কলেজের ছাত্র মাঈনুদ্দিন ভূঁঞা বলেন, অনেকে ভয়ে সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল না করে নৌকায় নদী পার হয়। নদী পারাপারে জনপ্রতি দিতে হয় পাঁচ টাকা করে। দরিদ্র লোকজন বাধ্য হয়ে সাঁকো ব্যবহার করে।
নৌকার মাঝি রুস্তম আলী (৭০) ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘ভোটের সময় নেতারা বড় গলায় বলেন, “এবার সেতু হবেই।” কিন্তু ভোটের পর তাঁদের কোনো খবর থাকে না।’
সিন্দুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নুর নবী বলেন, ওই সাঁকোর জায়গায় সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে বহুবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তিনি বলেন, গত বর্ষায় সাঁকো থেকে পড়ে সেকান্দরপুর ও উত্তর কৈখালী গ্রামের দুটি শিশু মারা গেছে।
দাগনভূঁঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল কবীর বলেন, তিনি বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে শুনেছেন। জেলা পরিষদ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেখানে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ফেনী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজ আহম্মদ চৌধুরী বলেন, অত বড় সেতু নির্মাণের জন্য বাজেট জেলা পরিষদের থাকে না। তবু বিষয়টি নিয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
সম্পাদনা: আরএইচ

আপনার মতামত দিন

Android App
Android App
Android App
© Natun Feni. All rights reserved. Design by: GS Tech Ltd.