নিজস্ব প্রতিনিধি >>
অদম্য ইচ্ছা শক্তি ও সাহস নিয়ে জন্মগত প্রতিবন্ধি নাদিয়া পারভীন কুসুম এবার এইচএসসি পরীক্ষা অংশ নিচ্ছে। শহরতলীর জয়নাল হাজারী ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে সে। রবিবার পরীক্ষার প্রথম দিন (বাংলা ১মপত্র) ফেনী সরকারী কলেজ কেন্দ্রে দেখা হয় তার সাথে। অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে পাল্লাদিয়ে নি:সংকোচে পরীক্ষার খাতায় লিখে চলছে নাদিয়া।
জানা যায়, ফেনী শহরতলীর মধুপুর গ্রামের প্রবাসী নুর আহাম্মদ ভূঁঞার বড় মেয়ে নাদিয়া দুই হাত ও পায়ে সমস্যা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। জন্মগত প্রতিবন্ধি হওয়ার পরও পরিবারের কিংবা সমাজের বোঝা না হয়ে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করে নাদিয়া। লেখাপড়ায় তার আগ্রহ দেখে পরিবারের সদস্যরা তাকে স্কুলে ভর্তি করায়। প্রাথমিকের গন্ডি পেরিয়ে ২০১৫ সালে গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পরীক্ষা পাশ করে। নাদিয়ার গল্পটা এখানেই শেষ নয়। লেখাপড়ার পাশাপাশি সে কম্পিউটার শিখে নেয়। স্থানীয়রা জানায়, অবসর সময় পাশ্ববর্তী অসহায় ও দুস্থ শিশুদের লেখাপড়া শিখায় নাদিয়া। নাদিয়ার ইচ্ছা সে বড় হয়ে চাকরি করে প্রতিবন্ধি শিশুদের নিয়ে কাজ করবে।
পরীক্ষার পর নাদিয়া জানায়, শারিরিক প্রতিবন্ধি হওয়ার পরও আমাকে অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে তিন ঘন্টা সময় পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ যদি আমাকে বিশেষ ব্যবস্থায় একটু সময় বাড়িয়ে দেয় তাহলে পরীক্ষা আরো ভালো হবে।
এ বিষয়ে জয়নাল হাজারী কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল হালিম জানায়, নাদিয়া অত্যন্ত শান্ত-শিষ্ট স্বভাবের একটি মেয়ে। শারিরিক প্রতিবন্ধি হয়েও সে অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতিযোগিতা দিয়ে লেখাপড়া করছে। লেখাপড়ায় তার আগ্রহ দেখে কলেজের পক্ষ থেকে তাকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে।
সম্পাদনা: আরএইচ
https://www.youtube.com/watch?v=3Msc5M42t9I