নিজস্ব প্রতিনিধি:
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম-দূর্ণীতি ও স্বজনপ্রিতীর অভিযোগ উঠেছে। সমিতির নিদের্শনা না মেনে বেপরোয়াভাবে নিজের খুশিমতো এসব কর্মকান্ড করে বেড়ানোর অভিযোগ করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের একাধিক কর্মচারী ও নিয়োগ বঞ্চিত এক প্রতিযোগি জানান, ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে যোগ দানের পর থেকে নানা অনিয়ম-দূর্ণীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে জিএম মো. মিজানুর রহমান। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সমিতির নেতাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচারণ করে আসলেও তাঁর বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় নি। চলতি মাসে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধিনে লেমুয়ার কসকাবাজারস্থ জোনাল অফিসের জন্য একজন বিলিং সুপারভাইজার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। সমিতির অভ্যন্তরীন নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চার জন প্রতিযোগি আবেদন করে। ২০ এপ্রিল আবেদনপত্রসহ ফেনী থেকে চন্দনা বড়–য়া, নোয়াখালী থেকে উম্মে ফাতেমা নাজমুন নাজার, চট্টগ্রাম থেকে মোর্শেদা আক্তার ও মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে শামিমা আক্তারসহ মোট চারজন সিনিয়র বিলিং সহকারী মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। উম্মে ফাতেমা নাজমুন নাহার ১৯৯১ সালে, মোর্শেদা আক্তার ১৯৯৪ সালে, চন্দনা বড়–য়া ১৯৯৬ সালে ও মানিকগঞ্জের শামিমা আক্তার ১৯৯৯ সালে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে নিয়োগ লাভ করেন। সমিতির নিয়োগ বিধির ৩২৪ ধারা মোতাবেক জ্যোষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগের বাধ্যবাদকতা থাকলেও ওই নিয়মের তোয়াক্কা না করে মোটা অংকের বিনিময়ে মোর্শেদা আক্তারকে বিলিং সুপারভাইজার পদে নিয়োগপত্র দেন।
অভিযোগ সম্পর্কে ফেনী পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান জানান, এটি সমিতির অভ্যন্তরীন বিষয়। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান না তিনি। (সংগৃহিত)
সম্পাদনা: আরএইচ