মুসলিম উম্মার অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা আগামীকাল বুধবার। সারা দেশের মতো ফেনীতেও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে ঈদ উদযাপনের প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
জেলা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ঈদের প্রধান জামাত আয়োজনের স্থান মিজান ময়দানে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা অংশ হিসেবে সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। একজন ইন্সপেক্টর এর নেতৃত্বে এসআই, এএসআই ও কনস্টেবলসহ ৫০ জন পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এছাড়া শহর ও জেলার ৩৫টি স্পটে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকবে। পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি, এসবি ও ডিবি পুলিশও মাঠে থাকবে। একজন ইন্সপেক্টর এর নেতৃত্বে ১০টি মোবাইল টিম থাকবে।
এবারও জেলার সর্ববৃহৎ ঈদুল আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে শহরের মিজান ময়দানে। বিশাল সামিয়ানসহ ঈদ জামাত আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ফেনী পৌরসভা। ঈদের দিন সকাল ৮টায় অনুষ্ঠেয় জামাতে ইমামতি করবেন ফেনী আলীয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসান।
এছাড়াও ফেনী কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদের সকাল সাড়ে ৭টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এখানে ইমামতি করবেন ফেনী মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ। শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে অবস্থিত জহিরিয়া জামে মসজিদে ৭ টা ১৫ মিনিটে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জিএ একাডেমী স্কুল মাঠে ৮ টা ১৫ মিনিটে, সার্কিট হাউজ জামে মসজিদে ৮টায় ও স্টেশন রোড জামে মসজিদে ৮ টা ১৫ মিনিটে, পাগলা মিয়া তাকিয়া জামে মসজিদে ৭টা ৪৫ মিনিটে, মমিন জাহান জামে মসজিদে ৮টায়, রামপুর পাটোয়ারী বাড়ি জামে মসজিদে ৭টায়, শান্তি কোম্পানী জামে মসজিদে ৮টায়, পাঠান বাড়ি জামে মজজিদে ৮টায়, মহিপাল কোব্বাত আহম্মদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে, মজারিয়া ঈদগাহ ময়দানে সাড়ে ৭টায়, রামপুর জামে মসজিদে ৮টায়, পশ্চিম রামপুর ঈদগাহ ময়দানে ৮টায়, মীর বাড়ি জামে মসজিদে সাড়ে ৭টায় ও বায়তুল হক জামে মসজিদে সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, মিজান ময়দানসহ শহর ও জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নজরদারি করবে।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনকে