ফেনীতে ১৪২ মন্দিরে চলছে দূর্গাপূজার প্রস্তুতি • নতুন ফেনীনতুন ফেনী ফেনীতে ১৪২ মন্দিরে চলছে দূর্গাপূজার প্রস্তুতি • নতুন ফেনী
 ফেনী |
২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেনীতে ১৪২ মন্দিরে চলছে দূর্গাপূজার প্রস্তুতি

রাশেদুল হাসানরাশেদুল হাসান
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১২:৪২ অপরাহ্ণ, ০২ অক্টোবর ২০১৮

ক’দিন পরই হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। এ উপলক্ষ্যে জেলা শহরসহ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের পূজা মন্ডপগুলোতে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। প্রতীমা নির্মাণ ও মন্দির সাজসজ্জায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগরসহ স্থানীয়রা।

সংশিষ্ট সূত্র ও পূজা উদ্যাপন পরিষদ নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ফেনীতে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ পূন্যার্থী জেলার ১শ’ ৪২ টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গোৎসব পালন করবে। এবার ফেনীতে ১ টি পূজা মন্ডপ বেড়েছে। গত বছর ১৪১ টি পুজামন্ডপে পুজা উদযাপন হয়। কিন্তু এবার ১৪২টি মন্ডবে উৎসব পালিত হবে। এর মধ্যে ফেনী পৌর সভায় ১২টি, ফেনী সদর উপজেলায় ৪৪টি, ফুলগাজীতে ৩৪টি, পরশুরামে ৬টি, দাগনভূঞাতে ১৭টি, ছাগলনাইয়ায় ৬টি ও সোনাগাজীতে ২৩টি পুজামন্ডপে দূগোৎসবের জন্য প্রস্তুুতি মোটামুটি শেষ পর্যায়ে।

ফেনী জেলা পুজা উৎযাপন কমিটির সহ-সভাপতি এডভোকেট সমির চন্দ্র কর নতুন ফেনী’কে জানান, আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর ৬ দিন ব্যাপী এ উৎসবে নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নেবে স্থানীয় প্রশাসন। এ নিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে একাধিকবার পূজা উদযাপন পরিষদ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবের প্রথম দিন দেবীর আগমন বোধন ষষ্ঠী পূজা, দ্বিতীয় দিন মহাসপ্তমী, তৃতীয় দিন মহাঅষ্টমী, চতুর্থ দিন মহানবমী ও সন্ধী পূজা এবং শেষ দিন প্রতীমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দশমী বিহীত পূজা উদ্যাপিত হবে।

জানা যায়, শহরের জগন্নাথ বাড়ী কমপেক্স, গুরুচক্র মন্দির, কালী বাড়ী মন্দির ঘুরে দেখা গেছে এখানকার মন্ডপের জন্য প্রতিমা নির্মাণ, সাজ-সজ্জার কাজ শেষ পর্যায়ে। জগন্নাথ বাড়ী কমপেক্স, গুরুচক্র মন্দির, কালী বাড়ী মন্দির ছাড়াও রামকৃষ্ণ মিশন ও বাঁশপাড়া কোয়ার্টার, পরশুরামে সাতঞ্জী বাড়ী মন্দির, ফুলগাজীর জগন্নাথ বাড়ি মন্দির, দাগনভূঞার কেন্দ্রীয় মন্দিরের বেশী সংখ্যক পূন্যার্থীর আগমন ঘটে।

সদর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লিটন চন্দ্র সাহা বলেন, এসব মন্দির ছাড়াও সবকটি পূজা মন্ডপে পুষ্পমাল্য ও বিলপত্রের মাধ্যমে পুষ্পাঞ্জলী, ধুপ ও কুশীর মাধ্যমে প্রতীমা আরতি, অষ্টমী ও নবমীতে অন্ন প্রসাদ ও পুরোহিত দ্বারা চন্ডিপাঠসহ নানা সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পূজা উদ্যাপন করা হয়।

বিগত প্রায় একমাস ধরে শিল্পীরা নান্দনিক ছোঁয়ায় প্রতীমা তৈরীর কাজ করছে। ফেনীতে প্রতীমা তৈরীর শিল্পী না থাকায় কুমিলা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম থেকে শিল্পী এনে জেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপে প্রতীমা তৈরী করা হয়। প্রতিটি পূজা মন্ডপে প্রতীমা নির্মাণে প্রকারভেদে ২০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা শিল্পীদের দিতে হয়।

জেলা হিন্দু বৈদ্য খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শুক দেবনাথ তপন জানান, জেলা শহর ও নিকটবর্তী কয়েকটি মন্ডপে এবার বড় আকারের বাজেট করে সাজ-সজ্জা ও প্রতিমা তৈরী করা হচ্ছে। এর মধ্যে কালীদহ ইউনিয়নের তুলা বাড়িয়া এলাকার বীনা পানি ক্লাব, শহরের বাঁশপাড়া মন্ডপ, ট্রাংক রোডস্থ বড় কালী মন্দির, এসএসকে রোডস্থ জগন্নাথ বাড়ি মন্দির ও বারাহীপুর সার্বজনীন মন্দির অন্যতম।

জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি রাজীব খগেশ দত্ত জানান, শারদীয় দূর্গোৎসবের পুরোদমে চলছে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সম্পাদনা: আরএইচ/এমকেএইচ

আপনার মতামত দিন

Android App
Android App
Android App
© Natun Feni. All rights reserved. Design by: GS Tech Ltd.