একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ততই উৎসবমুখর প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। অপরদিকে ভোটের মাঠে নেই বিএনপি নেতৃত্বাধীন ধানের শীষ প্রতীকের প্রচার-প্রচারণা। দলীয় নেতাদের অভিযোগ, বিএনপিসহ জোট নেতাকর্মীরা গ্রেফতার আতংকে রয়েছে। প্রতিদিনিই কোন না কোন নেতাকর্মীর বাড়ীতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
সদর উপজেলা ও পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। তিনি জনসভার মধ্য দিয়ে প্রচারণা শুরু করেন। প্রথমদিনে প্রচারণায় যোগ দেন তার রাজনীতির দুই গুরু চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। এবারের প্রচারণায় তিনি স্ত্রী নুরজাহান বেগম নাসরিন ও মেয়ে নুর আহাদ জাহান স্নিগ্ধা হাজারীকেও সঙ্গে রেখেছেন।
বৃহস্পতিবার ছনুয়া ও শর্শদি ইউনিয়নে পৃথক দুটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। তার সমর্থনে ইউনিয়ন এবং পৌরসভার প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্বাচনী কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দিনভর চলছে মাইকিং। পোস্টারও সাঁটানো হয়েছে অলি-গলিতে।
অপরদিকে ধানের শীষের প্রার্থী অধ্যাপক জয়নাল আবদীন ভিপি শহরের পাগলা মিয়ার মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন। পরে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শহরের প্রধান সড়কে গণসংযোগ শেষে সমবায় সুপার মার্কেটের সামনে সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তব্য রাখেন।
বৃহস্পতিবার তিনি শহরের রামপুর এলাকার মেহেদী-সাঈদী হাফেজিয়া মাদরাসায় দলীয় নেতাদের সাথে বৈঠকে বসেন। এসময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ আশপাশে অবস্থান নিলে সভা সংক্ষেপ করে নেতারা সরে পড়েন। পরে ভিপি জয়নাল জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো: ওয়াহিদুজজামান এবং পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকারের সাথে স্বাক্ষাত করেন।
আরো পড়ুন: ফেনীর ছনুয়ায় নির্বাচনী জনসভায়
অধ্যাপক জয়নাল আবদীন ভিপি জানান, প্রথমদিনে প্রচারণায় নেমেই তিনি ব্যাপক সাড়া পান। হঠাৎ নেতাকর্মীদের এমন উপস্থিতি দেখে পুলিশের ধরপাকড় অভিযান বেড়ে যায়। ওইদিন রাতে জেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারি, যুবদল সাংগঠনিক সম্পাদক নঈম উল্লাহ চৌধুরী বরাত, স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক এস.এম কায়সার এলিন সহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর বাসাবাড়িতে হানা দেয়। পুলিশের সঙ্গে সরকারি দলের নেতাকর্মীরাও অভিযানে অংশ নিচ্ছে বলে তার অভিযোগ। তার মতে, সারাদেশের মতো ফেনীতেও নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই।
অপরদিকে নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি বলেন, ফেনীতে চমৎকার পরিবেশ বিরাজমান। সরকারি দলের পক্ষ থেকে কোথাও কাউকে বাধা দেয়া হচ্ছে না। বিগত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা কালে শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন করায় নৌকার প্রচারণায় সাধারণ মানুষ স্বতস্ফূর্ত অংশ নিচ্ছেন।
বিএনপি নিজেদের বিভেদ ঢাকতে অহেতুক অভিযোগ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবেশ যাতে অশান্ত করতে না পারে এজন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সবসময় সতর্ক রয়েছে।
সম্পাদনা: আরএইচ/জেএইচআর