ফেনী সরকারি কলেজে ছাত্র সংসদ’র কার্যক্রম নেই ২৭ বছর ধরে। অথচ এই খাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়মিতভাবেই চাঁদা আদায় করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে দীর্ঘদিন হতাশা থাকলেও সম্প্রতি কলেজের এক অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে উচ্ছ্াস বিরাজ করছে।
কলেজ সূত্র জানায়, ১৯২২ সালে কলেজ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৫৬ সালে প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ১৯৯২ সালের পর কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ওই নির্বাচনে বাহার উদ্দিন ভিপি ও তৌহিদুর রেজানুর মাসুদ জিএস নির্বাচিত হন। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে ছাত্র সংসদের কোন কার্যক্রম না থাকলেও ছাত্র সংসদের খাতে চাঁদা আদায় হয়েছে। প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর এ বিদ্যাপিঠে প্রতিবছরই ছাত্র সংসদের নামে জনপ্রতি আদায় হয় ৩০ টাকা হারে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের অনেকের ছাত্র সংসদ সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই। এর কার্যক্রম কী, এমনকি এর কোন সুনির্দিষ্ট কক্ষও নেই। ছাত্র সংসদের নামে সংগৃহি টাকা কোথায় যায় এ খবরও রাখেন না কেউ। অথচ প্রতি বছরই এ খাতে টাকা গুনতে হয় তাদের।
কলেজের প্রধান সহকারি জসিম উদ্দিন জানান, প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা টাকাগুলো ব্যাংকে জমা আছে। তবে কত টাকা জমা আছে তিনি তা জানাতে পারেননি।
কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহম্মদ তপু জানান, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচন জরুরি। তাই দ্রæত নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে আমরা অধ্যক্ষ বরাবর আবেদনও জানিয়েছি। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ সৎ, যোগ্য ও মেধাবী নেতৃত্ব গড়ে তুলতে ছাত্র সংসদের বিকল্প নেই।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাহ উদ্দিন মামুন জানান, ঢাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবী জানানো হয়েছে। এসবের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের আলোকে ফেনীতেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিমল কান্তি পাল বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে কোন সমস্যা নেই। তবে নির্বাচনের গঠনতন্ত্র, পুরনো নথিপত্র দেখে নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করা হবে। এখানে শিক্ষার্থীদের ভোটে ছাত্র সংসদ প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। তারাই শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা তুলে ধরবেন।
সম্পাদনা: আরএইচ/ডিএফএস