প্রেম, প্রকৃতির বয়ান ‘তুলসীতলা’ • নতুন ফেনীনতুন ফেনী প্রেম, প্রকৃতির বয়ান ‘তুলসীতলা’ • নতুন ফেনী
 ফেনী |
১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেম, প্রকৃতির বয়ান ‘তুলসীতলা’

নিজস্ব প্রতিনিধিনিজস্ব প্রতিনিধি
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০১:৩৮ অপরাহ্ণ, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বিরহ, প্রেম, নারী, প্রকৃতি, সমাজ, দেশপ্রেম, দর্শন, জীবনবোধসহ সব বিষয়কে উপজীব্য করে তরুণ কবি ও চিকিৎসক ডা: রাজীব বিশ্বাসের একক কাব্যগ্রন্থ ‘তুলসীতলা।’ কাব্যগ্রন্থে কবির নানামুখী ভাবনার বিস্তার পাঠক সমাজকে মুগ্ধ করবে। কবিতাগুলো পাঠে পাঠক মননে মোহময়তা জাগে। সুনিপুণ বিতার কারিগর হিসেবে কবি দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন।

সম্প্রতি ফেনীতে এ কাব্যগ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন হয়েছে শহরের ডক্টরস রিক্রিয়েশনস ক্লাবে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। এবার একুশে বইমেলায় ‘পেন্সিল পাবলিকেসন্স’ থেকে রাজীব বিশ্বাসের ‘তুলসীতলা’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে। বইমেলায় সোহওরাওয়ার্দী উদ্যানের ‘পেন্সিল পাবলিকেসন্স’ ৫৭৩ নাম্বার স্টলে তার কাব্যগ্রন্থটি পাওয়া যাবে। বইটির মলাট দৃষ্টিনন্দন, কাগজ ও ছাপার মান উন্নত। ৮৮ পৃষ্ঠার এ গ্রন্থটির রাখা হয়েছে ১৫০ টাকা। দাম নাগালের মধ্যে বলে সকলে কিনতে পারবেন।

কবি রাজীব বিশ্বাস জানান, কাব্যগ্রন্থটি আমার প্রথম একক গ্রন্থ, এর মধ্যে ৫৩ টি কবিতা রয়েছে। বিরহ, প্রেম, প্রকৃতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, দর্শন বিষয়গুলোকে উপজীব্য করেই কবিতাগুলো লেখা হয়েছে। আশা করছি পাঠক আমার কবিতাগুলো গ্রহণ করবে।

কবি রাজীব বিশ্বাস ছাত্রজীবন থেকেই কবিতা লেখা শুরু করেন। তিনি মনে করেন, পৃথিবীতে কবিতার পাঠক খুবই কম। কবিতা হচ্ছে সাহিত্যের সর্বোচ্চ আসন। কবিতার জন্য যে চিন্তার প্রয়োজন শিল্পের অন্য যে কোন কিছুর চেয়ে বেশি। কবিতা সবার পাঠ্য হতে পারে না। যারা চিন্তার একধম গভীরে পৌঁছতে পারেন তারাই কবিতাতে পাঠ করেন বা কবিতার চর্চা করেন।

তিনি মনে করেন, কবিতার কাজ হচ্ছে মানুষের চিন্তার জায়গাটাকে শানিত করা। কবিতা আমার রক্তের ভেতর। আমার জিনের ভেতর। যখন আমি নিজের ভেতরে ডুবে যাই, একাকী হয়ে যাই তখনি আমার মধ্যে কবিতা চলে।

রাজীব বিশ্বাসের মতে, কবিতা হচ্ছে ব্যাক্তিগতভাবে আমি যদি বলি, মানুষের সু²াতিসু² যে অনুভব, যেগুলো আমরা আশেপাশের মানুষের মধ্যে দেখতে পাই না। যে বিষয়গুলো কবিকে ভীষণভাবে নাড়া দেয় সে নির্মল বিষয়গুলো হচ্ছে আমার কাছে কবিতা। সুন্দরে বহি:প্রকাশ হচ্ছে কবিতা। কবিরা ভবিষ্যতকে দেখতে পায়। আধুনিক কবিতা প্রাচ্যাত্য থেকে শুরু হলেও প্রাচ্য হচ্ছে কবিতার স্বর্গ। যদি আমি বেদ থেকে বা বেদের আদি থেকে বলি তাহলে বলতে হয় যে, প্রচ্যের যে জীবনাচরণ, প্রাচ্যের যে ইতিহাস লেখা হয়েছে তার বেশিরভাগই কবিতার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

কবতিা যুগে যুগে সমাজের ক্রান্তিকাল থেকে মুক্ত করেছে। সমাজে যখনই ক্রান্তিকাল এসেছে কবিরা এগিয়ে এসেছেন। ‘আমি কাঁদতে আসিনি আমি হাসির দাবি নিয়ে এসেছি।’ ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রæয়ারি।’ যুগ যুগ ধরে এগুলো ইতিহাস হয়ে আছে। কবিতার মধ্য দিয়ে প্রকৃতির সাথে মানুষের সম্মিলনকে সে দেখতে পায়।

কাব্যগ্রন্থের ফ্ল্যাপে লেখা- পাওয়া না পাওয়ার সরল দোলকে দুলি আমরা সবাই। কখনো বিমর্ষ কখনো বিক্ষুব্ধ, কখনো দিগি¦দিক শূন্য! কখনোবা নিজেকে লুকিয়ে রাখি নানান প্রবোধে। ভালোলাগা উঁকিঝুঁকি দেয় মাঝে মাঝে অজান্তে; কিন্তু বিরহ জেগে থাকে আমাদের চারপাশে প্রহরী হয়ে রাতদিন। বিক্ষিপ্ত ভাবনার বাতাসে ভেসে বেড়ায় আমাদের চারপাশ। আমরা অচেনা জলে সাঁতার কেটে পৌঁছে যাই অনকূলে নয়তো প্রতিকূলে। এভাবেই বেঁচে থাকি আমরা দিন-প্রতিদিন। এমনই সব ভাবনায় ছোট ছোট তরি ভিড় করে আছে এই কাব্য বীথিকায়।

‘তুলসীতলা’ কাব্যগ্রন্থটিতে মোট ৫৩টি কবিতা সংকলিত হলেও ব্যাপক বিষয় বৈচিত্র এটিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। প্রথম কবিতা ‘তুলসীতলা’ খুবই চমৎকার কবিতা। শেষটি ‘প্রতীক্ষা’ যেন নতুন কাব্যগ্রন্থের প্রতীক্ষার ক্ষণদীর্ঘ করেছে।

দেশপ্রেমের কবিতা যেমন:- আমারই জননী বীরাঙ্গনা,/ দিয়ে যাবো,/ফাল্গুনী,/যদি মরে যাই আমাকে ভীষণ উজ্জীবিত করেছে।
রোমান্টিক কবিতার সংখ্যাও কম নয়, যেমন- কবিতা পাঠের আসর,/ আমি এবং তুমি,/ আমি বৃষ্টি হব,/ তোমার জন্য,/ঘন নিঃশ্বাসে।

প্রকৃতি নিয়ে লেখা : বসন্ত বরণ,/ বরষা,/ সমাগত বৈশাখ,/ বোধন,/ মেঘ মেদুর চৈতন্য,/ মৃত্তিকা আবহমান বাঙলার প্রকৃতি ও ঋতুবৈচিত্রকে তুলে ধরেছে।

নোট: কাব্যগ্রন্থ- ‘তুলসীতলা’, কবি- রাজীব বিশ্বাস, প্রকাশনী -পেন্সিল পাবলিকেশনস, প্রচ্ছদ- চারু পিন্টু, প্রাপ্তিস্থান- বইমেলা পেন্সিল স্টল, ঢাকা- ৫৭৩নং, চট্টগ্রাম -১১০ নং।
সম্পাদনা: আরএইচ/এসএইচটি

আপনার মতামত দিন

Android App
Android App
Android App
© Natun Feni. All rights reserved. Design by: GS Tech Ltd.