ফেনীতে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইবিএম)। ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য চতুর্থ ধাপে উপজেলা নির্বাচনে ফেনীর ৬টি উপজেলার মধ্যে শুধুমাত্র সদরে ইবিএম পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে ফেনী সদর উপজেলা। এ উপজেলায় এবারের নির্বাচনে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ২শ’ ৫৬ ভোটার তাদের অধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজার ৭২জন পুরুষ ও ১ লাখ ৬৮ হাজার ১শ’ ১৮৪জন মহিলা ভোটার তাদের ভোট দিনে। এখানে ১২৭টি ভোট কেন্দ্রের ৮শ’ ৮২টি ভোট কক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
৩১ মার্চের নির্বাচনে ভোটাররা শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদে ভোট দিতে পারবেন। এ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক একেএম শহীদ খোন্দকার ও ফেনী সদর উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি জোসনা আরা বেগম জুসি বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত। ফলে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম (নৌকা) ও সাবেক যুবলীগ নেতা এম আজহারুল আরজুকে (আনারস) মার্কায় ভোট দিতে পারবেন ভোটাররা।
এদিকে নিরুত্তাপ ভোট উৎসবে ফেনী সদর উপজেলায় ইবিএম নিয়ে কিছুটা উৎসাহ রয়েছে তরুণ ভোটারদের মাঝে। ভোটের দিন কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার কথা জানিয়েছেন অনেকে। তবে নির্বাচন অফিস জানায়, ভোটারদের ইবিএমে কিভাবে ভোট দিতে হবে এ নিয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে।
ফোরকান হোসেন নামে এক ভোটার জানান, কেন্দ্রে যাওয়ার মতো পরিবেশ থাকলে অবশ্যই ভোট দিবো। ফেনীতে প্রথম ইবিএমের মাধ্যমে নির্বাচন হচ্ছে এটা ভালো দিক। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করলে একটি সুন্দর নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।
এ বিষয়ে ফেনী সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এম আজহারুল হক আরজু বলেন, যে পদ্ধতিতেই ভোট গ্রহণ হোক না কে প্রথমত ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, ফেনীর ৬টি উপজেলার মধ্যে একটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন’র (ইবিএম) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সব ধরণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি