সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাসাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার বাদী ও তার বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ও আইনজীকে হুমকি-গালমন্দ করেছে আসামি এবং তার স্বজনরা। বৃহস্পতিবার মামলার ধার্য তারিখে ২১ আসামিকে প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর পর কোর্ট হাজতে নেয়া ও আদালতে উপস্থিত করার সময় তারা মাহমুদুল হাসান নোমান ও বাদীর আইনজীবীদের লক্ষ্য করে অকথ্য গালাগাল ও নানাধরণের হুমকি-ধমকি দেয়।
মামলার বাদীমাহমুদুল হাসান নোমান জানান, মামলার আসামি ও তাদের আত্মীয়-স্বজনরা আদালতে পিবিআই ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সামনে আমাকে, আমার পরিবার ও আমার আইনজীবীকে নানা হুমকি দিয়ে গালমন্দ করে। এ বিষয়ে আইনি কোন পদক্ষেপ নিবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার আইনজীবিদের সাথে কথা বলে থানায় জিডি করা হবে।
নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, আদালত প্রাঙ্গণে আসামিরা সন্ত্রাসী কায়দায় কাস্টডি থেকে বের হওয়ার সময় অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছে। তাদের কিছু আত্মীয়-স্বজনও সেভাবে হুংকার দিয়ে গালমন্দ করেন। এসময় মামলার বাদী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য ও সংশ্লিষ্ট সব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানান।
ওই দিন দুপুরে দুপুরে মামলার ২১ আসামিকে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত শুনানি শেষে নুসরাত হত্যা মামলাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দম ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন।
এর আগে বুধবার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১৬ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করে আদালতে চার্জশিট দায়ের করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই ফেনীর পরিদর্শক মো. শাহ আলম। এ মামলার গ্রেপ্তার হওয়া আরো ৫ জনের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় চার্জশিটে তাদের নাম রাখা হয় নি।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি