একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র দুই দিন বাকি। এরই মধ্যে বুধবার থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ। আগামী রোববার নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন সারাদেশে শৈত্যপ্রবাহ থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন রাতের তাপমাত্রা আরও কমে গিয়ে শীতের মাত্রা বাড়বে। একই সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহের আওতাও বাড়বে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ ও বরিশাল অঞ্চলসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলের উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করেছে। ডিসেম্বর মাসের পুরোটা এবং জানুয়ারি মাসের কয়েকদিনও এই শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে শৈত্যপ্রবাহটি মৃদু অবস্থায় থাকলেও ধীরে ধীরে তা বেড়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রুপ নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন মোটামুটি সারাদেশেই শৈত্যপ্রবাহ থাকবে বলেও দেশ রুপান্তরকে জানান তিনি। দেশের রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের মাত্রা অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বেশি বলেও এসময় জানান তিনি।
বাতাসের তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে হলে মাঝারি ও তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির চেয়ে বেশি থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে হলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
আবহাওয়া অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, বুধবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে, সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ৭ দশমিক ৫, দিনাজপুরে ৮, বদলগাছীতে ৮ দশমিক ৪, ঈশ্বরদীতে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরণের কুয়াশা পড়তে পারে।
সম্পাদনা: আরএইচ/ডিআর