‘আমার পোস্টটিতে নেগেটিভ কিছু ছিলো না’

ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে জাতীয় প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ইলা জাহান নদীর সদস্যপদ তিন মাস স্থগিত করেছে সংগঠনটি। সম্প্রতি সম্প্রতি অসদাচরণের অভিযোগ এনে এ স্থগিতাদেশ দিয়েছেন প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তিন মাসের জন্য কার্যনির্বাহীর সকল সভা থেকে তাকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কারণ সমিতির মিটিং চলাকালীন সবার ছবি তুলে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন নদী। সেখানে লিখেন, ‘সবাই বাঁচাল, অনেক প্যাঁচাল, তবুও আশা, ভালবাসা।’
সমিতির অনেক সদস্য আমাদের ফোন করে আপত্তি জানান। পরবর্তী সময়ে আলোচনা করে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু নদী সদুত্তর দিতে পারেননি। বরং বুঝাতে চেয়েছেন, তিনি যা লিখেছেন তা ঠিক লিখেছেন। তার ব্যাখ্যা সন্তোষজনক নয়। আবার চূড়ান্ত কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। ওই চিঠিতেও বুঝাতে চেয়েছেন, তিনি যা করেছেন সেটা ঠিক আর আমরা চিঠি দিয়ে ভুল করেছি। তারপর সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই ব্যবস্থা গ্রহণ করি।’ কেউ কেউ বলছেন নারী নেতৃত্বকে দমিয়ে রাখতেই এমন মনোভাব হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে ইলা বলেন, আমার জানা নেই তারা এমনটি কেন করলেন? একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন এত বড় করেছেন, তা আমি বুঝতে পারছি না। আমি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে, আমার দেয়া ফেসবুকের পোস্টটি নেগেটিভ কিছু না, আমি ‘ফিলিং হোপফুল’ লিখেছিলাম বোরিং নয়। কিন্তু তারা আমার কথা বোঝার চেষ্টা করেননি। এরপর কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠালে আমি ব্যাকরণের কিছু ব্যাখ্যা এবং সাহিত্যের কিছু উপমা দিই এবং কারো খারাপ লাগলে দু:খ প্রকাশ করি। আরও লিখি যে, সমিতি চাইলে আমাকে যে কোন বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করতে পারে এবং আমি তা আমার জন্য মঙ্গলজনক বলে ধরে নিব। তারা জবাবপত্রটি পড়ে কেন এগুলো ইগনোর করে আমাকে চূড়ান্ত পত্র দিলেন, জানি না।
এরপর সেই পত্রে কিছু বিষয়ে অস্পস্টতা ছিল। আমি বুঝতে অপারগ বলে বুঝিয়ে দিয়ে বলে তারা শাস্তির নোটিশ করেন। এই পুরো সময়ে তারা কথা বললেও আমাকে বলতে দেননি একটি শব্দও। আমাকে রাখেননি আলোচনাতেও। আর এতটুকুর জন্য এত বড় শাস্তি হতে পারে বলে আমি মনে করি না।
সম্পাদনাঃ আরএইচ/এনজেটি