১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামীলীগসহ অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দল এ নির্বাচন বর্জন করে। ৫ কোটি ৬১ লাখ ৪৯ হাজার ১শ’ ৮২ ভোটারের মধ্যে নির্বাচনে ১ কোটি ১৭ লাখ ৭৬ হাজার ৮শ’ ৮১ ভোটার নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন। শতকরা হিসাবে এ ২১ শতাংশ ভোটার ভোট প্রদান করেন।
নির্বাচনে ৩শ’ আসনের মধ্যে ২৭৮টি আসন লাভ করে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। এ নির্বাচনে ফ্রিডম পার্টি ১টি ও সতন্ত্র প্রার্থীরা ১০টি পায়। এছাড়াও ১০টি আসনের ফলাফল অসমাপ্ত থাকে ও আদালতের রায়ে একটি আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল।
১৯ মার্চ নির্বাচিত সরকারের প্রথম সংসদ অধিবেশন শুরু হয়ে চার কার্যদিবস ২৫শে পর্যন্ত চলে। ৩০শে মার্চ ১৯৯৬ সালে সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। সংসদ স্থায়ী ছিল মাত্র ১২ দিন। এ দিন প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয় এবং খালেদা জিয়া পদত্যাগ করেন৷ রাষ্ট্রপতি সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করেন৷
১৯৯৩ সালে সর্বপ্রথম জামায়াত এবং তারপর আওয়ামী লীগ সংসদ সচিবালয়ে পরবর্তী নির্বাচনগুলোকে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য তত্বাবধাক সরকার বিল পেশ করে। তৎকালীন খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকার এই দাবি মেনে নেয় নি। কমনওয়েলথ ও অন্যান্য সংস্থা সরকার ও বিরোধীদলগুলোর সাথে সমঝোতার চেষ্টা করে ব্যার্থ হন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সহিংস ঘটনার মধ্যে এবং বিরোধীদলগুলোর প্রবল প্রতিবাদ ও নির্বাচন বর্জনের পরও ১৫ ফেব্রুয়ারী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনকে







