ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ১৮টি নির্দেশনা জারী করেছেন। তিনি এসব নির্দেশনা সরকারী নির্দেশনার সাথে সমন্বয় করে পালনের জন্য দলীয় নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ও ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান একে শহীদ খোন্দকার এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা দেয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন।
নির্দেশনাগুলো হচ্ছে-
১. অন্য কোন জেলার লোক ফেনী জেলায় প্রবেশ করতে পারবেনা। ফেনী জেলার লোক ও জেলার বাইরে যেতে পারবে না।
২. ফেনী জেলার মধ্যে এক উপজেলার লোক অন্য উপজেলায় যেতে পারবে না।
৩. উপজেলার মধ্যে এক ইউনিয়ন এর লোক অন্য ইউনিয়নে যেতে পারবে না।
৪. ইউনিয়ন এর মধ্যে এক গ্রামের লোক অন্য গ্রামে যেতে পারবে না।
৫. জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বেরুবেন না।
৬. মসজিদে ইমাম, মোয়াজ্জেম সহ ৫ জন ব্যক্তির বেশী কেউ জামায়াতে নামাজ পড়বেন না। ঘরে নামাজ পড়বেন।
৭. কোন জমায়েত করা যাবেনা। বিয়ে, ফর্দ, কুলখানি করা যাবেনা।
৮.ঘরের বাইরে কোন খেলা ধুলা করা যাবে না।
৯. ত্রান বা সাহায্য দেয়ার জন্য জমায়েত করা যাবেনা। সাহায্য ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।
১০.স্বাস্থ্য সুরক্ষা ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বেরুবেন না।
১১. কোন কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে বেরুলেই কঠোর ব্যবস্থা।
১২. সরকার নির্দেশিত ঘোষণা অনুযায়ী নির্দিস্ট দোকানপাট খোলা থাকবে, এর ব্যতিক্রম ঘটলে দোকান সিলগালা করে দেয়া হবে।
১৩. জরুরী সেবা ছাড়া কোন গাড়ি রাস্তায় বেরুবে না।
১৪. সরকারী ঘোষণা অনুযায়ী জরুরি সেবার জন্য নিয়োজিত ব্যক্তিগন এই নির্দেশনার আওতামুক্ত থাকবেন।
১৫. ফেনী জেলার সকল উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর সহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগন বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি /সাধারণ সম্পাদকদের সাথে পরামর্শ করে আজ থেকে তা কার্যকর করবেন।
১৬.প্রশাসনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে অবশ্যই সমন্বয় করতে হবে।
১৭. বিচ্ছিন্ন ভাবে কেউ কিছু করতে যাবেন না।
১৮. কেউ যেন না খেয়ে থাকে সেটার খোঁজ খবর রাখতে হবে। যদি কেউ ত্রান থেকে বাদ পড়েন তার নাম তালিকাভুক্ত করতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ওই নির্দেশনায় তিনি জানান, আমি ফেনীতে থেকে সব কিছু সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছি। নির্দেশনা পালনে কোন প্রকার ক্রটি হলে দলীয় কর্মী অথবা জনপ্রতিনিধি কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
উল্লেখ্য: ফেনীতে শুক্রবার পর্যন্ত ২৯ জনের প্রাপ্ত নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে সংক্রমণের কোন খবর পাওয়া যায়নি। তবে বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার ফাজিলপুরে নারায়নগঞ্জ ফেরত ব্যক্তির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে ছনুয়া ইউনিয়নে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া যুবকের শরীরে সংক্রমণ পায়নি স্বাস্থ্য বিভাগ।
সম্পাদনা: এনকে/আরএইচ







