ফেনী অনলাইনে অন্তত ১ হাজার ৩শটি কোরবানীর গরু বিক্রয় হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় তথ্যটি জেলা প্রাণিসম্পদক বিভাগ থেকে নিশ্চিত করা হয়। তবে গত কয়েকদিন উম্মুক্ত স্থানে পশুর বাজার বসার কারণে এখন অনলাইনে বিক্রি কমে গেছে।
জানা যায়, চলমান লকডাউনে উম্মুক্ত স্থানে বাজার বসানোর সম্ভাবনা কমে যাওয়ায় জেলার অনেক খামারী ফেসবুক ও ইউটিউবে নিজেদের খামারের নামে আইডি, পেজ তৈরী করে প্রচারণা চালাতে থাকে। শুরুর দিকে ক্রেতাদেরও অনলাইনের দিকে ঝোক ছিলো। অনেক ক্রেতা অনলাইনে গরু দেখে সরাসরি খামারে গিয়ে কোরবানীর পশু ক্রয় করেছেন। তবে প্রকাশ্য বাজার বসানোর অনুমতি মেলায় এখন সবাই বাজারে গিয়েই কোরবানীর পশু ক্রয় করছেন। এতে করে ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনলাইনের ঝোক কমে গেছে।
ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের আফতাব বিবি গ্রামের সিটি এগ্রো ফার্মের সত্বাধিকারী আবদুল ওহাব ভূঞা রিয়াদ জানান, মূলত অনলাইনে গরু বিক্রি হচ্ছেনা। অনলাইনে ক্রেতারা কোন খামারে কি ধরনের গরু রয়েছে তা জানতে চায়। পরে এক-দুইটা পছন্দ করে খামারে এসে দরদাম করেই কোরবানীর পশু কেনেন। তবে সরাসরি খামারী থেকে পশু কিনলে কোন প্রকারের হাসিল দিতে হয়না। পালনের অসুবিধার কারণে অনেকেই গরু কিনে ঈদ পর্যন্তই খামারেই রেখে যাচ্ছেন। গত কয়েকদিন প্রকাশ্য বাজার বসার সুযোগ হওয়ায় এখন খামারী-ক্রেতারা সবাই বাজার মুখি হয়ে গেছে।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. আনিসুর রহমান জানান, ফেনীতে অন্তত ২ হাজার খামার ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে পালিত ৮০ হাজার কোরবানী পশু বিক্রি যোগ্য রয়েছে। এর বিপরীতে ফেনীতে কোরবানীর পশুর চাহিদা রয়েছে ৭২ থেকে ৭৫ হাজার। এর আগ থেকেই স্থানীয় খামারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে বেশ কিছুদিন যাবত নিজেদের খামারের প্রচার করে ক্রেতাদের কাছে জানান দিয়ে আসছিলেন। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ফেনীর বিভিন্ন খামারে অনলাইনে অন্তত ১ হাজার ৩শ গুরু বিক্রি হয়েছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। তবে এখন আর অনলাইনে বেশি বিক্রি হবেনা। কারণ এখন সবাই বাজারেই গরু কিনতে যাবেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার অনলাইন কোরবানী পশু বিক্রির জন্য একটি ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপস উদ্বোধন করা হয়েছে। আমরা এখন সাইটের দিকে মনযোগী নয়। এখন আমাদের মাঠ পর্যায়ের লোকজন অস্থায়ী গরু বাজারের মেডিকেল কার্যক্রমে সময় দিচ্ছেন। আগামীতে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নিয়ে প্রানিসম্পদক বিভাগ কাজ করবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান জানান, ফেনীতে স্বাস্থ্যবিধির বাধ্যবাধকতা দিয়ে ১১১টি পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বৃহস্পতিবার সকালে অনলাইনে পশু বিক্রির একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম ‘পশুরহাট ফেনী’ নামের একটি ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপসের উদ্বোধন করা হয়েছে। এখন ফেনীর মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার থেকে ও ঘরে বসে অনলাইন থেকে পশু কেনার সুযোগ লাভ করেছে।







