ফেনী সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই প্রচারণার মাঠে নেমেছেন ৫৬৭ জন প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী। সোমবার সংশ্লিষ্ট ইউপি নির্বাচনের রিটার্ণিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক প্রাপ্তদের মাঝে চেয়ারম্যান প্রার্থী ১১ জন, সাধারণ সদস্য প্রার্থী ৪৫৫ জন ও সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থী ১০১ জন রয়েছে।
নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সোমবার প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার সাথে সাথেই ইউপি মেম্বার প্রার্থী ও চেয়ারম্যান প্রার্থীরা কর্মী সমর্থক নিয়ে প্রচারণা নেমে পড়েছেন। অনেকেই প্রতীক বরাদ্ধের আগেই সম্ভাব্য প্রতীকে ব্যানার পেস্টুন তৈরী করে আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষায় ছিলেন। বিশেষ করে ৪ ইউপিতে নৌকার প্রার্থীরা পূর্বেই প্রচারণার যাবতীয় কার্যক্রমের প্রস্তুুতি রেখে ছিলেন আগে থেকেই। শহরতলীর পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের নৌকা প্রার্থী মাহবুবুল হক লিটন প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে নির্বাচনী এলাকায় প্রতীকের জানান দিয়েছেন। কালীদহ ইউনিয়নের মেম্বার প্রার্থী হাসান ইকবাল শাহীন বিএ মরগ প্রার্থী হয়েই মাঠে নেমে পড়েছেন। এছাড়াও অপরাপর প্রার্থীরাও মাইকিং, প্রচারপত্র বিলি, পোস্টারিং করে ভোটারদের সালাম জানিয়ে দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করছেন।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ফেনী সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৮টিতে চেয়ারম্যান পদে বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বাকী ৪টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। প্রতীক প্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন পাঁচগাছিয়ায় মাহবুব উল আলম লিটন নৌকা, আনোয়ার হোসেন মানিক ঘোড়া, কাবুল হোসেন কাবুল আনারস ও ইফতেখারুল আলম চশমা। লেমুয়া ইউনিয়নে মোশাররফ উদ্দিন নাছিম নৌকা, ফেরদোস আহম্মেদ কোরাইশী আনারস ও ইসমাঈল হোসেন হাতপাখা। ধলিয়া ইউনিয়নে আনোয়ার আহম্মেদ মুন্সি নৌকা ও লুৎফুন নাহার আনারস। ছনুয়া ইউনিয়নে করিমুল্লাহ নৌকা ও মো. ইব্রাহিম আনারস প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
এছাড়াও উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ৪৫৫ জন সাধারণ সদস্য (মেম্বার) ও ১০১ জন সংরক্ষিত সদস্য (মহিলা মেম্বার) কে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।







