ফেনীর পরশুরামের মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভূট্টু ও তার সহযোগীদের হামলায় শাহীন চৌধুরী (৫৪) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে এঘটনায় পরশুরাম মডেল থানায় নিহতের স্ত্রী ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হচ্ছেন এজহারভূক্ত আসামী মো. এনায়েত, মো. রহিম ও আরিফ মিয়া এবং সন্দেহভাজন মো. আজিম।
নিহত শাহীন উপজেলার দক্ষিণ কাউখালী গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে। তিনি পরশুরাম দক্ষিণ কোলাপাড়া গ্রামস্থ মীর মজুমদার মসজিদ সংলগ্ন আবু বক্কর ছিদ্দিক ফিস ফিডের কর্মচারী ছিলেন।
মামলার এজহার, সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় মধুগ্রামের বাবুল মেম্বারের ছেলে আবুল হাসেমের নিটক ৭ লাখ টাকা পাওনা ছিলো আবু বকর ফিস ফিড। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই টাকা পরিশোধের কথা ছিলো। কিন্তুু রাতে হাসেম দোকানে এসে টাকা পরিশোধ করা যাবেনা বলে জানায়। বিষয়টি নিয়ে দোকানের ম্যানেজার জয়নাল উদ্দিন চৌধুরী ও কর্মচারী শাহীন চৌধুরীর সাথে বাক বিতন্ডা লাগে। এক পর্যায়ে হাসেম বিষয়টি মোবাইলে মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভূট্টুকে জানায়। খবর পেয়ে ভূট্টু ও তার সহযোগীরা ২টি মোটরসাইকেল যোগে দোকানে এসে কর্মচারী শাহীন চৌধুরীকে কে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে শাহীন অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারা সড়কে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
নিহত শাহীনের স্ত্রী মোছা ফিরোজা বেগম জানান, আমার স্বামীকে হত্যার ঘটনায় রাতেই পরশুরাম মডেল থানায় আমি বাদি হয়ে আবুল হাসেম ও চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভূট্টুসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছি। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
পরশুরাম মডেল থানার ওসি মো. খালেদ হোসেন দাইয়ান নতুন ফেনীকে জানান, দোকান কর্মচারী শাহীনের মৃত্যুর ঘটনায় ৪ জনকে আটক করে জিজ্ঞাবাদ চলছে। ঘটনার পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভূট্টু ও প্রধান আসামী আবুল হাসেম পলাতক রয়েছে।







