ফেনীতে দিন দিন করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার কমছে। বিপরীতে বাড়ছে সুস্থতার মাত্রাও। বর্তমানে জেলায় সরকারী হিসাবে সংক্রমিত লোকজনের মধ্যে ৮৭.৪৬ শতাংশই সুস্থ হয়েছে। সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় আছেন ২৫০ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ২ দশমিক ৬শতাংশ।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, গত ১৬ এপ্রিল জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের পশ্চিম মধুগ্রামে প্রথম এক যুবক কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন। জেলায় গতকাল রবিবার পর্যন্ত কোভিডে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১৯৯৪ জন। এইসময়ে সুস্থ হয়েছেন ৩৭৭ জন। ১১৫২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজের ল্যাব থেকে এর মধ্যে ১১ হাজার ৩শ ১৫ জনের প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৪১ জন।
সূত্র আরো জানায়, সদর উপজেলায় ৭শ ৮১ জন আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন ৬৮৫ জন। জেলায় সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে এ উপজেলায়। মারা গেছেন ১৩ জন। এখানে সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৭০শতাংশ। দাগনভূঞা উপজেলায় ৩৯৮ জন আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩৪৭ জন। এখানে সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ১৮শতাংশ। মারা গেছেন ৮ জন। ফুলগাজী উপজেলায় ১২৭ জন আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন ১১৫ জন। এখানে সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫৫শতাংশ। ছাগলনাইয়া উপজেলায় ২৪৮ জন আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হেেছ ২২৮ জন। এখানে সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৯৩শতাংশ। মারা গেছেন ৬ জন। সোনাগাজী উপজেলায় ২৬৯ জন আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন ২৪৩ জন। এখানে সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৩৩শতাংশ। মারা গেছেন ১১ জন। পরশুরাম উপজেলায় ১৪৫ জন আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন ১২২ জন। এখানে সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ১৪শতাংশ। মারা গেছেন ৩ জন। জেলার বাইরে অন্য এলাকা থেকে আক্রান্ত হওয়া ২৬ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪ জন।
সিভিল সার্জন ডা: মীর মোবারক হোসাইন বলেন, সব ঠিক আছে। ভয়টা এখন শীত মৌসুম নিয়ে। তাই আশা জাগানিয়া সংক্রমণ কমার অগ্রগতি নিয়ে পুরোপুরি স্বস্তিবোধ করার সুযোগ নেই। শীত মৌসুমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে তখনই পরিস্থিতি নিয়ে সঠিক মূল্যায়ন করা যাবে।
সম্পাদনা:আরএইচ/এইচআর







