১৯৭৮ সালে এবিএম মূসা ব্যাংককে জাতিসংঘের পরিবেশ কার্যক্রমের (এসকাপ) এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক পদে যোগ দেন। দেশে ফিরে এসে ১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান সম্পাদক ছিলেন। ২০০৪ সালে তিনি কিছুদিন দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও আজীবন সদস্য এবিএম মূসা ক্লাবের চারবার সভাপতি ও তিনবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এবিএম মূসা একুশে পদকসহ দেশি-বিদেশি নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। জনপ্রিয় কলাম লেখক এবিএম মূসা একজন দর্শকপ্রিয় আলোচক ও সংবাদ বিশ্লেষক হিসাবে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
সাংবাদিক এবিএম মূসার জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে এবিএম মূসা-সেতারা মূসা ফাউন্ডেশন। রোববার বিকাল তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক সাখাওয়াৎ আলী খান।
সভায় আলোচনায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরিন আখতার, দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারোয়ার, নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুর রহিম, কামাল লোহানী, আবেদ খান, সৈয়দ আবুল মাকসুদ, মাহফুজ উল্লাহ, শামসুদ্দিন আহম্মেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
সম্পাদনা: আরএইচ