এবোলার প্রতিষেধক আবিষ্কার করল কানাডা • নতুন ফেনীনতুন ফেনী এবোলার প্রতিষেধক আবিষ্কার করল কানাডা • নতুন ফেনী
 ফেনী |
২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এবোলার প্রতিষেধক আবিষ্কার করল কানাডা

রাশেদুল হাসানরাশেদুল হাসান
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৫:০২ অপরাহ্ণ, ২০ অক্টোবর ২০১৪
নতুন ফেনী ডেস্ক>>
অবশেষে আবিষ্কৃত হলো মারণ ভাইরাস এবোলার প্রতিষেধক। কানাডার ন্যাশনাল মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবরেটরির গবেষকরা মরণ ঘাতক এবোলার প্রতিষেধক তৈরী করেছেন। তবে সেটি বাজারে আসতে আরো কিছুটা সময় লাগবে। বেশ কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই সেটি ছাড়া হবে।

জানা গেছে, পশুদেহে পরীক্ষা করে সেটি চূড়ান্তভাবে সফল। এখন সেটি মানবদেহে পরীক্ষা করতে সুইজারল্যান্ড পাঠাচ্ছে কানাডা সরকার। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে পরীক্ষামূলক এই ভ্যাকসিনের এক হাজারের বেশি ভ্যাকসিন জেনেভায় পৌঁছাবে।

এবোলা ভাইরাসে সংক্রমিত হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যই অবধারিত৷ এই অসুখের ওষুধ বা টিকা আবিষ্কার হয়নি এখন পর্যন্ত৷ তবে একটা ভাল খবর হলো খুব সংক্রামক নয় রোগটি৷

এবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায় না৷ মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ করে কঙ্গো, সুদান, গাবন ও আইভরিকোস্টে এই ভাইরাসের প্রকোপ বেশি৷

দেহের তরল পদার্থের মাধ্যমে সংক্রমণ

সাধারণত এবোলা ভাইরাস বাতাসে নয়, দেহের তরল পদার্থ রক্ত, লালা ইত্যাদির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়৷ সরাসরি শারীরিক সংযোগের মাধ্যমে ঘটে থাকে সংক্রমণ৷ যেমন ভাইরাসে আক্রান্ত কারো সেবা করলে৷ এ কারণে হাসপাতালগুলিতে এর বিস্তৃতি লক্ষ্য করা যায়৷ এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মরদেহ স্পর্শ করলেও সংক্রমণ হতে পারে৷ ভাইরাসরা বাহকের প্রতিটি সেলেই বিস্তৃত হতে পারে৷

এছাড়া জীবজন্তু বিশেষ করে বাঁদুড় এই ভাইরাস ছড়াতে পারে৷ অসুস্থ বা মৃত জন্তুর সংস্পর্শে এলে সংক্রমণ হতে পারে৷ মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে এই ভাইরাসকে লম্বা ও পাতলা সুতার মতো মনে হয়৷ এগুলির অনেক প্রজাতি রয়েছে৷ বিশেষ কয়েকটি মানুষকে অসুস্থ করতে পারে৷ আর এরকম হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যু হয়৷

আক্রান্ত ব্যক্তি দুর্বল হতে থাকে

দুই থেকে একুশ দিনের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তি দুর্বল হতে থাকে৷ মাথাব্যথা, পেশিব্যথা ও কাঁপুনি দেখা দেয়৷ রুচি নষ্ট হয়ে যায়৷ বমি ও পেটখারাপ হয়৷ পেটের শিরায় টান খায়৷ এক ধরনের জ্বর হয়ে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হয়৷ বিশেষ করে পেট ও অন্ত্রের নালী এবং প্লীহা ও ফুসফুস আক্রান্ত হয়৷ যা ভুক্তভোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়৷

সম্পাদনা: আরএইচ

আপনার মতামত দিন

Android App
Android App
Android App
© Natun Feni. All rights reserved. Design by: GS Tech Ltd.