আবু লাইছ মোহাম্মদ ত্বোহা ও নুর নবী নোমান >>
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে তিনটা। ফেনী সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে একটি ঝটলা দেখে গাবড়ে গেলাম। কোন সমস্যা নয়তো! সামনে গিয়ে সংশয় দূর হয়ে গেল। কোরবানীর একটি গরুকে কেন্দ্র করেই সৃষ্ট এ ঝটলা। ইতিমধ্যে ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের মো. শাহজানের গরুটি নিয়ে মাঠসহ শহরের আলোচনা শুরু হয়। আস্তে আস্তে ভিড় বাড়তে থাকে।
কথা হয় গরুর মালিক শাহজাহানের সাথে। তিনি তিন লাখ টাকা গুরুটির দাম হাকিয়েছেন। ক্রেতারা কত দাম বলেছে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান এক ক্রেতা এক লাখ ৮০ হাজার টাকা বলেন। কিন্তু এ দামে শখের গরুটি বিক্রি করবেন না। তবে আড়াই লাখের কম বেশি হলে গরুটি তিনি বিক্রি করবেন বলে জানান। মোটা তাজাকরণ করতে ওষধ কিংবা অন্যকোন কিছু ব্যবহার করা হয়েছে কিনা বললে তিনি এসব নাকচ করে দেন। একই মাঠে আরেক বিক্রেতার নাম পেয়ার আহাম্মদ। শহরতলীর পাঁছগাছিয়া থেকে এ বাজারে গরু বিক্রি করতে সকালে সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপস্থিত হন। তাঁর গরুটির দাম হাকিয়েছেন আড়াই লাখ টাকা। বেশ কয়েকজন ক্রেতা দেড় লাখ টাকা দাম বললেও বিক্রি করতে রাজী হননি তিনি। মাঠের পশ্চিম পাশের রেলিং ঘেষে গুরু নিয়ে ক্রেতাদের অপেক্ষার প্রহর গুনছেন ওমর ফারুক। তাঁর গরুটির দাম হাকিয়েছেন ২ লাখ আশি হাজার টাকা। গরুটি এক ক্রেতা ১ লাখ বিশ হাজার টাকা বলেন। কিন্তু তিনি গরুটি ২ লাখ টাকার কম বিক্রি করবেন না বলে জানান।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার ফেনী সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেশ কয়েকটি মোটাতাজা গরু বিক্রি করতে নিয়ে আসেন ক্রেতারা। তবে বাজারে চাহিদার তুলনায় কোরবানীর পশু কম উঠায় ক্রেতাদের মাঝে কিছুটা হতাশা লক্ষ্য করা গেছে।
বাজার পরিচালনা কমিটির এক সদস্য শাহ ইমরান নিশান জানান, বাজারে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে তারা পরিচালনা কমিটির ফি (হাসিল) শতকরা ২ টাকার বেশি নিচ্ছেন বলে জানান।
সম্পাদনা: আরএইচ/এএলএমটি/এনএেএন