নিজস্ব প্রতিনিধি >>
ফেনীতে সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজেসে বেড়েই চলছে জাল টাকার ছড়াছড়ি। এ নিয়ে গ্রাহক ও সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারী বিভিন্ন ভাতা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনসহ বেসরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক লেনদেন হয় সোনালী ব্যাংক’র ফেনী আঞ্চলিক এ প্রধান শাখায়। এ শাখার কর্মকর্তাদের একটি সিন্ডিকেট কৌশলে গ্রাহকদের মাঝে জাল টাকা সরবরাহ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। মহিলা ও বয়স্ক মানুষই এসব অসাধু কর্মকর্তাদের টার্গেটে পরিণত। টাকার বান্ডেলে জাল টাকা গুজে দিয়ে গ্রহকদের বিদায় দেন তাঁরা। পরবর্তীতে ওই জাল টাকা নিয়ে ব্যাংকে বান্ডেল খুলাসহ নানা অযুহাত তুলে গ্রাহককে ফিরিয়ে দেন বলে ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেন।
বুধবার সকালে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতি নন্দনা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীনে স্ত্রী শামিমা বেগম সঞ্চয়পত্র বিক্রি বাবদ ৩ লাখ ৭৪ হাজার ১শ’ ৯৬ টাকা উত্তোলনের জন্য সোনালী ব্যাংকে আসেন। ব্যাংকের ক্যাশিয়ার গিয়াস উদ্দিন ১ হাজার টাকা নোটের তিনটি বান্ডেলসহ মোট টাকা শামিমা বেগমকে বুঝিয়ে দেন। পরে তিনি একই ব্যাংকের নীচ তলায় পুনরায় সঞ্চয়পত্র ক্রয় বাবদ ৩ লাখ টাকা জমা দিতে গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ৩টি এক হাজার টাকা জাল আছে বলে ওই টাকা নিতে অনিহা প্রকাশ করেন। পরে অনেক বাকবিতন্ডার পর গিয়াস উদ্দিন শামিমা আক্তারকে তিনটি নোট পরিবর্তন করে দেন।
একই কায়দায় মঙ্গলবার দুপুরে উত্তম দেবনাথ নামের এক ব্যক্তি সোনালী ব্যাংক প্রধান শাখা থেকে টাকা উক্তলন করে যমুনা ব্যাংক ফেনী শাখায় টাকা জামা দিতে গেলে ভান্ডেলে জাল টাকা রয়েছে বলে টাকা ফেরৎ দেয়। পুনরায় সোনালী ব্যাংকে অভিযোগ করতে আসলে ব্যংক তার অভিযোগটি আমলে না নিয়ে তাকে উল্টো লাঞ্চিত করেন বলে অভিযোগ করেন উক্তম নাথ।
জাল টাকা কোত্থেকে আসলো জিজ্ঞেস করলে অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিন জানান, জানান ফেনী সদর উপজেলার ভূমি অফিসের এক কর্মচারী তার কাছে জালটাকা সহ ট্রেজারির চালানের টাকা জমা দিয়েছেন। অভিযোগ আসার পর জালটাকা গুলি পরিবর্তন করে তাকে ডেকে এনে জাল টাকাটি নষ্ট না করে তার হাতে বুঝিয়ে দিয়েছি বলে দাবী করেন।
ব্যাংকের শাখা কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামানকে তাৎক্ষনিক জানানো হলে তিনি অভিযুক্ত কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিনকে ডেকে বিষয়টি জিজ্ঞেস করে ছেড়ে দেন।
এ বিষয়ে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের এ কেএম শহীদুল্লাহ বলেন, বর্তমানে আমি ছুটিতে আছি। তবে এ ধরণের ঘটনার জন্য তিনি দু:খ প্রকাশ করেন।
সম্পাদনা: আরএইচ