নিজস্ব প্রতিনিধি>>
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মৃত্যর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ফেনীর ১২ বছরের পথ শিশু ইলিয়াছ। শহরের রেলওয়ে সংলগ্ন স্থানে আম গাছ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হলে স্থানীয় কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক তাকে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
মোহাম্মদ ইলিয়াছের বেড়ে ওঠা শহরের রেলওয়ে কলোনীর খুপড়িতে। অভাবের তাড়নায় শিশুপুত্র ইলিয়াছকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারেননি চা বিক্রেতা মোহাম্মদ হাসেম। কিন্তু লেখপড়ায় তীব্র নেশা ইলিয়াছের। রেলওয়ে স্টেশনে প্রত্যয় পাঠশালা নামে পথশিশুদের একটি পাঠশালায় লেখাপড়া শুরু করে। পরিবারের ছোট ছেলের লেখাপড়ায় আগ্রহ দেখে বাঁধ সাধেন নি মা রাশেদা বেগমও। ইলিয়াছ নিয়মিত স্কুলে আসে বলে জানান পাঠশালার সংগঠক মঞ্জিলা আক্তার মিমি। কুমিল্লার লাঙ্গলকোট উপজেলার বাসিন্দা হলেও তারা দীর্ঘদিন ধরে ফেনী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় থাকে।
কিন্তু ২১ মে রবিবার ইলিয়াছের জীবনে নেমে আসে দূর্যোগের ঘটঘটা। ওই দিন সন্ধ্যায় আম পাড়তে গিয়ে দূর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয় ইলিয়াছ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় মঞ্জিলা আক্তার মিমি, ওমর বিন কাশেম সিফাত, মাহমুদুর রহমান ফাহাদ, পারভেজ, শহীদসহ আরো কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আধুনিক ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ২৮ নম্বর বেড়ে চিকিৎসাধিন রয়েছে ইলিয়াছ।
চিকিৎসকরা জানান, শিশুটির মাথার একাধিক অংশ, মুখমন্ডল, মুখের ভেতরের কয়েকটি অংশ, চোখ ও দাঁতে জখম রয়েছে। এছাড়া তার পায়ের দুই স্থানে ভেঙে গেছে। ইতোমধ্যে দুটি অপারেশন হয়ে গেছে ওর। আরো একাধিক অপারেশন প্রয়োজন বলে জানান চিকিৎসকরা। চিকিৎসায় প্রচুর টাকাও প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা ওর পরিবারের অবস্থার কথা জেনে সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন।
ইলিয়াছের পিতা মোহাম্মদ হাসেম ছেলে ইলিয়াছের চিকিৎসায় সহযোগিতা করার জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি বলে, সুস্থ্য হয়ে আবারো লেখা পড়া করবে আমার সন্তান। আপনারা তাকে বাঁচান। ইলিয়াছকে সহযোগিতা করতে চাইলে মাহমুদুর রহমান ফাহাদের সাথে (০১৫১৭-০৫২৪৫৩) যোগাযোগ করুন।
সম্পাদনা: আরএইচ