নিজস্ব প্রতিনিধি >>
ফেনীতে পাশবিক নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী ও স্কুল শিক্ষার্থীকে ন্যায় বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার। মঙ্গলবার পৃথক ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, অপরাপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
এর আগে সোমবার দুই নির্যাতিতাকে দেখতে আধুনিক ফেনী সদর হাসপাতালে যান পুলিশ সুপার এসএম জাাহাঙ্গীর আলম সরকার। এসময় নির্যাতিতাদের সুবিচার পাওয়া ও অপরাধিদের দ্রুত গ্রেফতার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টার কথা জানান। এছাড়াও তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্যাতিতাদের উন্নত চিকিৎসা প্রদানের অনুরোধ জানান।
এর আগে ৯ জুলাই রবিবার গৃহকর্তীর অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় আমেনা নামের ১০ বছরের এক শিশু। খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে লোমহর্ষক তথ্য বেরিয়ে আসে। নির্যাতিতা আমেনা জানায়, শহরের নুরিয়া মসজিদ সংলগ্ন আফরোজা ম্যানশনে গৃহকর্মীর কাজ করে আমেনা। আফরোজা তাকে নানাভাবে নির্যাতনের পর ঢাকা তার নরদের বাসায় পাঠিয়ে দেয়। সেখানে অমানুষিক নির্যাতনের পর তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখানে বাসায় চিকিৎসারপর তাকে পুনরায় ফেনীতে পাঠিয়ে দিলে আফরো রাতের আধারে বাসা থেকে বের করে দেয়। পরে ভোরে শহরের তাকিয়া রোড়ে দেখতে পেয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বাসায় নিয়ে যায়। তার অবস্থা দেখে তিনি হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ঘটনায় নির্যাতিতার ফুফু বাদি হয়ে আফরোজাকে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার সকালে ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া থেকে আফরোজাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
একই দিন দাগনভূঞা খুশিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী স্কুল ছুটির পর ভুলে রেখে যাওয়া বই আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন। তার চিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে নির্যাতিতার চাচা এয়াছিন বাদী হয়ে তিন জনকে দাগনভূঞা থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে সোমবার সকালে মামলার এজহারভুক্ত আসামী হারুন অর রশিদ শুভ নামে একজনকে গ্রেফতার করে।
সম্পাদনা: আরএইচ/এইচএসটি