নিজস্ব প্রতিনিধি >>
ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরে স্থানীয় আওয়ামীলীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগ হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছে জেলা বিএনপি। বুধবার সন্ধ্যায় দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন মিষ্টার।
লিখিত বক্তব্যে জিয়া উদ্দিন মিষ্টার বলেন, ২৮ অক্টোবর শনিবার ও ৩১ অক্টোবার মঙ্গলবার বেগম জিয়ার গাড়ী বহরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে কেন্দ্রিয় নের্তৃবৃন্দসহ গণমাধ্যমকর্মীরা আহত হয়েছেন। সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হামলায় অংশ গ্রহণকারীদের পরিচয় মানুষ জানতে পেরেছে।
মিষ্টার আরো বলেন, ধর্মপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাতাদ হোসেন সাকা ও শর্শদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলমকে গ্রেফতার করলে সমস্ত পরিকল্পনার মূল রহস্য উদঘটিত হবে।
এছাড়াও তিনি জেলা বিএনপির মধ্যে কোন অন্ত:কোন্দল নেই বলে জিয়া উদ্দিন মিষ্টার বলেন, ২৮ অক্টোবরের ঘটনা একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সেখানে সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন ভিপি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানুর মধ্যে বিরোধের জের ধরে এ হামলা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃত সত্যকে গোপন করে সন্ত্রাসীদের রক্ষা করার জন্য এমন আষাঢ়ে গল্প তৈরী করেছে।
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট আবু তাহেরের সভাপতিত্বে সম্মেলনে দলীয় চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদিন ভিপি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন খান, যুগ্ম-সম্পাদক মনোয়ার হোসেন দুলাল, পৌর বিএনপির সভাপতি আলাল উদ্দিণ আলাল, মহিলাদলের সভাপতি জুলেখা আক্তার ডেইজি, পরশুরাম পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা আবু তালেবসহ দলটির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২৮ অক্টোবর শনিবার ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন বেগম খালেদা জিয়া। নিজ জেলা ফেনীতে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেয়ার জন্য যাত্রা বিরতি কালে মহাসড়কের মোহাম্মদ আলী এলাকায় তাঁর গাড়ী বহর হামলার শিকার হয়। দূর্বৃত্ত্বদের হামলায় বেশ কয়েকটি মিডিয়ার গাড়ী ভাংচুর ও বেশ কয়েকজন সাংবাদিকরা আহত হন।
৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার ফেরার পথে পুনরায় খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরে আবারো হামলা চালায় দূর্বৃত্ত্বরা। মহাসড়কের মহিপালে নজির আহাম্মদ ফিলিং স্টেশনের সামনে দুটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্টোল বোমা মেরে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাস দুটি পুুরে গলেও কোন ধরণের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সম্পাদনা: আরএইচ/জেএইচএম