নিজস্ব প্রতিনিধি>>
ফেনীতে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরের পেছনে পেট্টোল বোমা হামলার ঘটনায় আরো ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোররাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে ফনী পৌর সভার সাবেক কমিশনার ও বিএনপি নেতা দেলওয়ার হোসেন বাবুল, সোনাগাজী পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল মোবারক (ভিপি দুলাল), ফুলগাজী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কামাল হোসেন কামাল ও দাগনভূঞা ইউনিয়নের ছাত্রদল সভাপতি মো. মানিকসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃতরা সবাই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে।
এর আগে ঘটনার দিন সুগন্ধা পরিবহনের চালক আবদুল মালেক, চৌদ্দগ্রাম ট্রান্সপোর্টের চালক হারুনুর রশিদ, যমুনা বাস কোম্পানির পরিচালক মিলন, ফাজিলপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নূরে সালাম মিলন ও পেয়ার আহাম্মদ ও আরো একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৯জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাদের গ্রেফতারে পৃথক ভাবে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. রাশেদ খান চৌধুরী, সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. হুমায়ুন কবীর, দাগনভূঞা থানার পরিদর্শক (ওসি) আবুল কালাম আজাদ ও ফুলগাজী থানার পরিদশক (ওসি) এমএম মোর্শেদ।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. রাশেদ খান চৌধুরী আরো জানান, আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড চাওয়া হবে। পুলিশ খালেদা জিয়ার বহরে হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
উল্লেখ্য, ২৮ অক্টোবর শনিবার ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন বেগম খালেদা জিয়া। নিজ জেলা ফেনীতে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেয়ার জন্য যাত্রা বিরতি কালে মহাসড়কের মোহাম্মদ আলী এলাকায় তাঁর গাড়ী বহর হামলার শিকার হয়। দূর্বৃত্ত্বদের হামলায় বেশ কয়েকটি মিডিয়ার গাড়ী ভাংচুর ও বেশ কয়েকজন সাংবাদিকরা আহত হন। ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার ফেরার পথে পুনরায় খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরে আবারো হামলা চালায় দূর্বৃত্ত্বরা। মহাসড়কের মহিপালে নজির আহাম্মদ ফিলিং স্টেশনের সামনে দুটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্টোল বোমা মেরে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাস দুটি পুুরে গলেও কোন ধরণের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
উভয় ঘটনায় পৃথক মামলা দায়ের করে পুলিশ। ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় ২৫/৩০জন অজ্ঞাত ব্যাক্তিকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন কার্ট পুলিশের পরিদর্শক একেএম নজিবুল ইসলাম। অপর দিকে ৩১ অক্টোবর খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরের পেছনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ফেনী মডেল থানার এসআই নুর উদ্দিন বাদী হয়ে জেলা ছাত্রদল সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ৩৫/৪০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করে।
সম্পাদনা: আরএইচ/জেএইচএম