ডা. ছরওয়ার আলম।
মাওলানা ফারুকে আজম (৪২)। একটি মসজিদের খতিব। তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ খ্রি. তারিখে আমাদের নিকট আসলেন তার জিহ্বায় ঘা (ক্ষত) রোগের চিকিৎসার জন্য। তিনি জানান গত ১০-১২ বছর ধরে জিহ্বায় এবং মুখ গহ্বরের ভেতরে জিহ্বার পেছনে অমসৃণ ঘা রোগে কষ্ট পাচ্ছেন।
তিনি জানান, এই ঘা এ ব্যথা কম, অস্বস্তি বেশি। এর জন্য বার বার গলা খেঁকরাতে হয়। ঠান্ড খাবার ও ঠান্ডা আবহাওয়ায় কষ্ট বাড়ে। মিষ্টি খেলেও বাড়ে। প্রায় সময় জোরে কথা বললে স্বরভঙ্গ দেখা দেয়, গলা বসে যায়। এর জন্য নামাজ পড়াতে বিরাট অসুবিধায় পড়তে হয়। এছাড়া গত ১২ বছর ধরে গ্যাস্টাইটিসে কষ্ট পাচ্ছেন। পাইল্সের সমস্যাও আছে। মাঝে মাঝে হাঁটুতে ধরে থাকে। হাঁটতে টান টান ভাব, মাঝে মাঝে হাঁটুতে খট্ খট্ শব্দ করে। ঝাল ও তৈলাক্ত খাবার সহ্য কম হয়। ঠান্ডা আবহাওয়া অসহ্য। হাত পায়ের তালুতে জ্বালাপোড়া আছে। শান্ত প্রকৃতির। স্বরণশক্তি ভাল। সাহস বেশি। সন্দেহ নাই।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় রোগ নয়, রোগীর চিকিৎসা করা হয়। আঙ্গিক নয়, সর্বাঙ্গিক চিকিৎসা করা হয়। এর জন্য প্রত্যেক চিকিৎসককে ধৈর্য ধরে সময় নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রোগীলিপি নিতে হয়। আমরাও মাওলানা ফারুকে আজমের ক্ষেত্রে- তিনি শুধু দীর্ঘ ১২ বছরের পুরানো মুখক্ষতের চিকিৎসার জন্য আসলেও আমরা তার পূর্ণাঙ্গ রোগীচিত্র নিলাম। তার রোগীলিপি মূল্যায়ণ করে, আমরা তার ক্ষেত্রে ঔষধ নির্বাচন করলাম “কষ্টিকাম”। উক্ত ঔষধ সেবনে অল্পদিনের মধ্যে খতিব সাহেবের দুরারোগ্য মুখক্ষত আরোগ্য হয়। তার অন্যান্য উপসর্গও উপশমীত হয়। মাওলানা সাহেবের এখন আর ঘন ঘন স্বরভঙ্গ দেখা দেয়না। এখন নামাজ পড়াতে সমস্যায় পড়তে হয়না। তার একটি রোগের চিকিৎসা করাতে এসে অনেক সমস্যার সমাধান হওয়াতে সে খুবই খুশি। আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন। এখনো মাওলানা সাহেবের মাঝে মাঝে বিভিন্ন অসুস্থতা দেখা দিলে আমাদের নিকট পরামর্শ নিতে আসেন।
লেখকঃ সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদ, ফেনী জেলা।