ডা. ছরওয়ার আলম।
আশফাকুল ইসলাম। বয়স ২০ দিন। তার পিতা আতিকুল ইসলাম ২ জুলাই ২০১৪ খ্রি. তারিখে এসে জানালেন, তাদের শিশু সন্তানকে নিয়ে তারা খুব কষ্টে আছেন। আমরা জানতে চাইলাম কি সমস্যা। তিনি বলেন শিশু দিনে যা একটু ঘুমায় কিন্তু রাত্রে মোটেই ঘুমায়না। অনেক আদর যত্ন করে দেখেছি, কোনভাবেই সে ঘুমায়না। বিরক্ত করে, কান্নাকাটি করে, অস্থিরতা প্রকাশ করে, এর জন্য পরিবারের সবার ঘুমের ব্যঘাত হচ্ছে।
জানতে চাইলাম আর কি কষ্ট। তিনি জানালেন তার পায়খানা ক্লিয়ার হয়না। দুই তিন দিন পর পর পায়খান হয়। পেট ফেঁপে থাকে। যেদিন পায়খানা হয়, সেদিন রাত্রে কিছুটা ঘুমায়। তিনি আরো জানান, তাদের শিশু সন্তানের গলা খেঁকরানো আছে, দিনে পাতলা সর্দ্দি ও রাত্রে গাঢ় সর্দ্দির কারনে নাক বন্ধ থাকে, তাই নাকে খ্যাঁত খ্যাঁত করে। খায় কম, বিরক্ত করে।
হোমিওপ্যাথিক লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি
একই রোগে সব রোগীর একই ঔষধ হয়না। পরীক্ষিত হোমিওপ্যাথিক যে ঔষধের লক্ষণের সাথে রোগীর রোগলক্ষণের অধিক মিল পাওয়া যায় একমাত্র সে ঔষধে রোগীর রোগ আরোগ্য হয়।
শিশুদের ক্ষেত্রে লক্ষণ সংগ্রহ করা কষ্টসাধ্য। তাদের ভাব-ভঙ্গীমা, আচরন পর্যবেক্ষণ করে ঔষধ নির্বাচন করতে হয়। ২০ দিন বয়সী আশফাকুল ইসলামের নিদ্রাহীনতার ক্ষেত্রে তার রোগীলিপি মূল্যায়ণ করে আমরা ঔষধ নির্বাচন করলাম “নাক্স ভমিকা”। উক্ত ঔষধ সেবনের পর আশফাকুল রাত্রে স্বাভাবিকভাবে ঘুমায়, তার পায়খানা স্বাভাবিক হয়, রাত্রে নাক বন্ধ ও খ্যাঁত খ্যাঁত রোগ আরোগ্য হয়। মা বাবার দুঃশ্চিন্তা দুর হয়। তার বয়স এখন সাড়ে ৩ বছর। সে এখন আল্লাহর রহমতে সম্পূর্ণ সুস্থ্য আছে।
লেখকঃ সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদ, ফেনী জেলা।