আসন্ন দূর্গাপূজায় ফেনীতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে পুলিশ প্রশাসন। জেলার ১শ’ ৪২টি পূজা মন্ডপে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসহ সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। পৌরসভা ও উপজেলার সকল ইউনিয়নে পূজামন্ডপে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে ও প্রতিটি মন্ডপে পর্যায়ক্রমে পুলিশ টহলরত থাকবে। দর্শনার্থীদের চলাচলের জন্য রাতের বেলা শহর ও উপজেলায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হবে।
সূত্র আরো জানায়, পূজামন্ডপ দর্শনার্থীরা পরিদর্শনের সময়ে নারী-পুরুষ পৃথক প্রবেশপথ করার জন্য পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পূজামন্ডপে কোন প্রকার ব্যাগ বা অন্যান্য জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। কারো কাছে কোন ব্যাগ থাকলে স্বেচ্ছাসেবকরা তল্লাশী করে প্রবেশপথ থেকে ফিরিয়ে দেবে।
এছাড়াও মোটরসাইকেল পুজামন্ডপে ঢুকতে দেয়া হবে বা। মোটর সাইকেলে করে দুস্কৃতিকারীরা যে কোন ধরনের অঘটন ঘটাতে পারে। পূজামন্ডপের সামনে ও পেছনে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। আতশবাজি ও পোটকা পোটানো যাবে না। সন্ধ্যার আগে দুর্গা বিসর্জন দিতে হবে। পূজা উপলক্ষে কোন অশ্লীলতা প্রদর্শন করা থেকে বিরত, আজান-নামাজের সময় শব্দযন্ত্র বন্ধ ও রাত ১১টার মধ্যে শব্দযন্ত্র নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রশাসন।
এদিকে জেলার ১শ’ ৪২ পূজা মন্ডপে অনুদান প্রদান করেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। দশমি ঘাটের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তের জন্য ১৬ মেট্টিক টন চাউল ও তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে জেলার প্রত্যেকটি মন্ডপের জন্য ২ হাজার টাকা ও সদর উপজেলার ৫৪টি মন্ডপের জন্য সরকারি তহবিল থেকে ৪০ হাজার টাকা করে প্রদান করেন।
পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, পূজায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে প্রশাসন। যে কোন ধরণের নাশকতা ঠেকাতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনকে