‘এই তো হেমন্ত দিন’ • নতুন ফেনীনতুন ফেনী ‘এই তো হেমন্ত দিন’ • নতুন ফেনী
 ফেনী |
১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘এই তো হেমন্ত দিন’

রাশেদুল হাসানরাশেদুল হাসান
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১২:০০ অপরাহ্ণ, ১৬ অক্টোবর ২০১৮

ষড়ঋতুর দেশ আমাদের বাংলাদেশ। গ্রীস্ম, বর্ষা ,শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত নিয়ে আমাদের ষড়ঋতু। ষড়ঋতুর মাঝে হেমন্ত আসলেই একটি চমৎকার ঋতু। কী শান্ত. কী স্নিগ্ধ, কী মধুর ঋতু। হেমন্তের যেন তুলনাই হয় না। ষড়ঋতুর পালাবদলে সোনালী রঙের সৌন্দর্য নিয়ে হেমন্ত আসে আমাদের মাঝে। এ সময় মাঠে মাঠে থাকে সোনালী ধান। হিম শীতল হাওয়ায় সোনালী ধানের শীষে ঢেউ খেলে আসে হেমন্ত। কিচিরমিচির পাখির ডাক,ভোরের কাঁচা কোমল রোদ, শিশিরে ভেজানো দুর্বা ঘাস, শুকিয়ে যাওয়া পথঘাট, ফুল সুরভী ঢেলে, পাকা ধানের মৌ মৌ ঘ্রান নিয়ে, মিষ্টি মিষ্টি সূর্যের হাসি ছড়িয়ে, নবান্নের আমন্ত্রণে হেমন্ত আসে সোনামাখা জাদুমাখা শিল্পীর ছবি আঁকা আমার বাংলাদেশে। কৃষক কৃষাণীর মুখে অনাবিল হাসি, রাখাল রাজার মধুর বাঁশির ধ্বনিতে, মন প্রাণ আকুলি বিকুলি করে, করে ঝঙ্কৃত। কবি লিখেন অনুপম কবিতা, ছড়াকার লিখেন শাশ্বত ছড়া। বাউল মনে জাগে ভাব আর ছন্দ, চলেন একতারা বাজিয়ে মেঠোপথ দিয়ে, যান দূর সীমানায় মিলিয়ে।

কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাস নিয়েই হেমন্তের যাত্রা শুরু। প্রচলিত তথ্য মতে, ‘কৃত্তিকা’ ও ‘আর্দ্রা’ নামের দু’টি তারার নামে ‘কার্তিক’ ও ‘অগ্রহায়ণ’ নামের উৎপত্তি। এখানে ‘অগ্র’ অর্থ ধান এবং ‘হায়ণ’ অর্থ কাটার মওসুম। এ জন্য অগ্রহায়ণ মাসকেই বছরের প্রথম মাস হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন সম্রাট আকবর। নবান্ন উৎসব শুরু হয় এ ঋতুতে। নবান্নকে নিয়ে হরেক রকম সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি হয়ে আসছে যুগের পর যুগ। বাঙালির সংস্কৃতিতে নবান্ন একটি অন্যতম অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত, যা আমাদের নতুনভাবে শিখতেও সাহায্য করে। নবান্নকে নিয়ে কবিতায় উঠে এসেছে নানাবিধ প্রসঙ্গ-অনুষঙ্গ। কিষানীর উঠোনের ধুলোর গন্ধ কবিতার শরীরের সাথে মিশে যায় নিপুণভাবে। ফসলি মাঠের মেঘমালা আর শীতের হাওয়া দোল দেয় আমাদের মনে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নৈবদ্যে স্তব্ধতা কবিতায় লিখেছেন-‘আজি হেমন্তের শান্তি ব্যাপ্ত চরাচরে/জনশূন্য ক্ষেত্র মাঝে দীপ্ত দ্বিপ্রহরে/ শব্দহীন গতিহীন স্তব্ধতা উদার/রয়েছে পড়িয়া শ্রান্ত দিগন্ত প্রসার/স্বর্ণশ্যাম ডানা মেলি।’ এখানে কবি হেমন্তের বিচিত্র স্তব্ধ রূপ তুলে ধরেছেন। হেমন্তের পথে পথে হেঁটে কবি যে রঙরেখা এঁকেছেন তা সত্যিই কল্পনার বাইরে। কেননা, হেমন্তের মিষ্টি রোদ ডানা মেলে উড়ে যায় শীতের সীমান্তে।

বাংলাদেশে হেমন্ত আসে ধীর পদক্ষেপে, শীতের পরশ আলতো করে গায়ে মেখে। হেমন্তের ফসল কাটাকে কেন্দ্র করেই নবান্ন উৎসবের সূচনা হয়। নবান্ন উৎসবের কোন নির্দিষ্ট তারিখ নেই। এটি ঋতুনির্ভর। সাধারণত অগ্রহায়ণে নবান্ন উৎসব হয়ে থাকে। এ সময় কাটা হয় ধান। ধান কাটার মৌসুমে কৃষকের আনন্দের সীমা-পরিসীমা থাকে না। মনের উল্লাসে তার গান গায়- ‘কচ্-কচা-কচ্ কচ্-কচা-কচ্ ধান কাটি রে/(ও ভাই) ঝিঙ্গা শাইলের হুডুম ভালা/বাঁশ ফুলেরি ভাত্/লাহি ধানের খই রে/দইয়ে তেলেস্মাত্।/ …/কস্তর গন্ধীর চাউলের আলো/সেই চাউলেরই পিঠা ভালো/সেই পিঠায় সাজিয়ে থালা/দাও কুটুমের হাতে রে।’

কিষানের গোলাভরা ধানে বুক ভরে যায় অন্য রকম এক সুখে। কবি সুফিয়া কামাল তার কবিতায় হেমন্তে ফসল তোলার চিত্রটি এঁকেছেন এভাবে-‘এই তো হেমন্ত দিন, দিল নব ফসল সম্ভার/অঙ্গনে অঙ্গনে ভরি, এই রূপ আমার বাংলার/রিক্তের অঞ্চল ভরি, হাসি ভরি, ক্ষুধার্তের মুখে/ভবিষ্যৎ সুখের আশা ভরি দিল কৃষকের বুকে/শিশির সিঞ্চনে সিক্ত দ্বারা বুকে তৃণাঞ্চল জাগে,/ সোনালী ধানের ক্ষেতে ঈষৎ শীতার্ত হাওয়া লাগে/…/মাতা হেরিতেছে নবান্ন আসন্ন উৎসবে,/বিমুগ্ধ নয়নে হেরে পরিপূর্ণ ফসলের ভার,/অঙ্গ ভরিয়া আছে- আমার বাংলার।’কবিতায় হেমন্তকালীন ফসলের রূপ বর্ণনা করা হয়েছে ভিন্নমাত্রায়।

কবি জসীম উদ্দীন লিখেছেন-‘সবুজে হলুদে সোহাগ ঢুলায়ে ধান ক্ষেত,/পথের কিনারে পাতা দোলাইয়া করে সাদা সঙ্কেত।/ছড়ায় ছড়ায় জড়াজড়ি করি বাতাসে ঢলিয়া পড়ে,/ঝাঁকে আর ঝাঁকে টিয়া পাখিগুলি শুয়েছে মাঠের পরে।/কৃষাণ কনের বিয়ে হবে হবে তার হলদি কোটার শাড়ি,/হলুদে ছোপায় হেমন্ত রোজ কচি রোদ রেখা-নাড়ি।’

শিশিরভেজা ফসলের রূপ অনবদ্য এক অধ্যায়ের সূচনা তৈরি করেছে তা কবিতায় ফুটে উঠেছে একান্তভাবে। কবি জীবনানন্দ দাশের অবসরের গান কবিতায় বলেছেন- ‘চারিদিকে নুয়ে পড়ে ফলেছে ফসল তাদের স্তনের থেকে ফোঁটা ফোঁটা পড়িতেছে শিশিরের জল।’ কবির এই কবিতায় স্পষ্ট বোঝা যায়, শিশিরভেজা ফসল কখনো কখনো ফলবতী নারীর ভূমিকাও পালন করে। নারী যেমন সুন্দরের আখ্যান, তেমনি হেমন্তের শিশিরভেজা ফসলও ঋতুমতীর আখ্যান হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তাই জীবনানন্দ দাশ তার কবিতায় যথার্থই তুলে ধরেছেন অনবদ্য ঢঙে।

বাংলাদেশের কোন কোন অঞ্চলে ফসল তোলার পরদিনই নতুন ধানের নতুন চালে ফিরনি-পায়েশ অথবা ক্ষীর তৈরি করে আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর ঘরে ঘরে বিতরণ করা হয়। নবান্নে জামাইকে নিমন্ত্রণ করা হয়। মেয়েকেও বাপের বাড়িতে ‘নাইওর’ আনা হয়। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘অঘ্রাণের সওগাত’ কবিতায় নবান্নের চিত্রটি বেশ উপভোগ্য। তিনি লিখেছেন : ‘ঋতু খাঞ্চা ভরিয়া এল কি ধরণীর সওগাত?/নবীন ধানের অঘ্রাণে আজি অঘ্রাণ হলো মাৎ।/ ‘গিন্নি পাগল’ চালের ফিরনী/তশ্তরী বরে নবীনা গিন্নি/হাসিতে হাসিতে দিতেছে স্বামীরে, খুশিতে কাঁপিছে হাত/শিরনি রাঁধেন বড়বিবি, বাড়ি গন্ধে তেলেসমাত।/মিঞা ও বিবিতে বড় ভাব আজি খামারে ধরে না ধান/বিছানা করিতে ছোট বিবি রাতে চাপা সুরে গাহে গান;/শাশবিবি কন্, আহা, আসে নাই/কতদিন হলো মেজলা জামাই।’

সমকালীন কবিতায় দেখা যায়, কবি মানুষের মুখের কথাগুলো তুলে ধরেছেন অন্যভাবে। কবিতায় মূলকথা সরাসরি প্রকাশ না করে একটু-আধটু রূপক-উপমার আশ্রয় নেয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কবিতায় যেমন দর্শন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে, সাথে সাথে সহজবোধ্য কিংবা দুর্বোধ্যতার বিষয়টিও উঠে এসেছে পাঠকমহলে। হেমন্তকে কবি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণে দেখেছেন। ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে কবিতায়। কবিতায় উঠে এসেছে শিশির স্নাত ভোরবেলা, মিষ্টি সোনা রোদ, স্নিগ্ধ দুপুর, মেঘমুক্ত বিকেল, কুয়াশায় ভিজে যাওয়া পাতার সংসার নিয়ে সন্ধ্যা আর মুখরিত রাত। সেই সাথে নতুনভাবে যুক্ত হয় পিঠাপুলির উৎসব। বাংলার এসব প্রথা দিনে দিনে পরিবর্তিত হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণে, পরিবর্তন এসেছে বাংলা সাহিত্যের কবিতায়ও। যেমন নাসির আহমেদ তার এই দৃশ্য ‘শুধু সম্ভাবনা’ কবিতায় উল্লেখ করেছেন- ‘ওই যে সবুজ ছুঁয়ে সন্ধ্যা নামে দেখো- /আসলে সবুজ নয় এ হলো কবির কল্পনার বনভূমি /এবং সন্ধ্যার মতো কুয়াশার গাঢ় কিছু চিত্রকল্প, /যার প্রান্ত ছুঁয়ে ফুটে আছে কমলালেবুর মতো লাল সূর্য, /চিত্রকল্পে সন্ধ্যা মনে হয়।’

গ্রামীণ একটি প্রবাদ আছে, ‘ঠেলা যায় হাত্তিকে, ঠেলা যায় না কার্তিককে’। কারণ এই সময় বেশির ভাগ কৃষকের ঘরে ফসলের মজুদ কমে আসে, ফলে শুরু হয় খাদ্যের অভাব। তাই কার্তিক মাসকে বরাবরই গ্রামের সাধারণ মানুষ ভয় পেয়ে থাকে। অভাব মোকাবেলা করে চলতে থাকে নতুন ফসল তোলার প্রস্তুতি, সে ক্ষেত্রে হেমন্তের নতুন ফসল উঠলে পেছনের দুঃখময় দিনগুলোর কষ্ট মুছে যায় তাদের অজান্তেই। শুরু হয় নতুন করে খাদ্য মজুদের এক মহাসমারোহ। কবি তার কবিতায় তুলে আনেন এসব দিনরাত্রির উপাখ্যান। সুজাউদ্দিন কায়সার নিরাপদ উজ্জ্বলতা কবিতায় বলেছেন- ‘তোমার বহিরঙ্গে আজ তবু কেন এত অহেতুক রূঢ়তা?/ কী রকম বিষমাখা এ রকম প্রতিহিংসা?/ স্মৃতি-বিস্মৃতির পরিক্রমা মনে হয় আরো ভুলে যাবে/ ভাবনার বিনিময় অফুরান চিরায়ত এসব বর্ণময় বস্তুময়/ তুমি স্বরূপে অবহিত জীবন কেবল সন্ধানে চাও প্রক্ষালিত হতে-/ নিকটবর্তী যা জেনেছ তাও জানো অনুচ্চ প্রকৃত সুস্থতা নিয়ে নিরাপদ উজ্জ্বলতা জড়াবে- অনুভূতি’ এভাবে কবিতার মাধ্যমে ফুটে উঠছে আমাদের সমকালীন সভ্যতার সাদা-কালো কষ্ট। আধুনিক কবিতায় বিষয়বস্তু ঋদ্ধ করতে কবি হয়তো বা রূপকের ব্যবহার করছেন, তবে রূপকের ব্যবহার যথার্থই প্রয়োগ করছেন।

হেমন্তে দেখা মেলে ফসলি মাঠের এক প্রাণবন্ত উজ্জ্বলতা। এই প্রাণবন্ত জীবন-জীবিকা ফুটে উঠেছে কবিতার বিভিন্ন খেরোখাতায়। বলা হয় হেমন্তের ষোলআনা কবি জীবনানন্দ দাশ। তার কবিতায় উঠে এসেছে সৌন্দর্যের কারুকার্য। তবে হেমন্ত-ভাবনায় শামসুর রাহমান ছিলেন জীবনানন্দীয় চিত্রকল্পের বিপরীতে। আবার আল মাহমুদের কবিতায় হেমন্ত ধরা দিয়েছে মানুষের প্রেমে-কামে প্রকৃতির নবলোকে। পূর্ণাঙ্গরূপ আল মাহমুদের কবিতায় দেখা যায়। তিনি অঘ্রাণ কবিতায় লিখেছেন- ‘আজ এই হেমন্তের জলদ বাতাসে /আমার হৃদয় মন মানুষীর গন্ধে ভরে গেছে।/ রমণীর প্রেম আর লবণসৌরভে…’

অন্য দিকে হেমন্তকে ভিন্ন মাত্রায় তুলে ধরা সম্ভব তা আবিদ আজাদ তার হেমন্ত বিষয়ক কবিতার খসড়া কবিতায় প্রমাণ করেছেন- ‘জানালার দুমড়ানো পরদা সরিয়ে কে যেন নিষ্প্রভ স্বরে ডেকে ওঠে :/ – হেমন্ত এসেছে? – হেমন্ত? কে তিনি? /কার কথা বলেছেন সাহেব? /কে সে? ছেলে ছোকড়া কেউ?…/ নাকি কোনো নেহাত ছাপোষা ভদ্রলোক? /কার কথা বলছেন সাহেব শুনি?/ কোন গলিতে থাকেন তিনি? ’

সমকালীন লেখকদের দৃষ্টিভঙ্গি আরো বেশি প্রখর, তা তাদের কবিতায় ধরা পড়ে। তাদের চিন্তা-চেতনার সাথে সাধারণ জীবন-জীবিকা একাকারভাবে মিশে যায়। তেমনি একটি কবিতার কথা তুলে ধরা যায়। জাকির আবু জাফর তার প্রিয় হেমন্ত আমার কবিতায় বলেছেন- ‘সূদীর্ঘ আঁধার ভেঙে /জেগে ওঠে আমার সুদিন আমার আশ্চর্য আনন্দের ভোর /কিছুটা শিশির মাখা কিছুটা কুয়াশা হিম/ বাকিটা কোমল আর্দ্রতায় অবনত নীলের উঠোনে/ কেউ যেনো লিখে গেছে- হেমন্তের নাম হেমন্ত আমার হেমন্ত।’

প্রকৃতির সাথে মানুষের অস্তিত্বের সম্পর্ক নিবিড়ভাবে মিশে আছে আদিকাল থেকেই। প্রকৃতি ছাড়া মানুষ কল্পনা করা অসম্ভব। প্রকৃতির ওপর এক বিশ্বস্ত অভিধানের পাতা আগেই মেলে গেছে। কবিতার মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে উঠে এসেছে প্রেম, বিরহ, বিদ্রোহ কিংবা লাজুকতার চিত্রকল্প। তাই জীবনানন্দ দাশ আবার আসিব ফিরে কবিতায় সাহসী ভূমিকা দেখিয়েছেন- ‘আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে- /এই বাংলায় হয়তো মানুষ নয়, হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে/ হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে/ কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব কাঁঠাল ছায়ায়।’ সুতরাং সেকাল আর একাল বিবেচনা করলে হেমন্তবিষয়ক কবিতা বেশ খোরাক জুগিয়েছে সাহিত্যপ্রেমীদের। ঋতু ছাড়া কোনো কবিই প্রকৃতির সুস্থ বন্দনা করতে পারেন না। সমকালীন কবিতায় কবি বেশ সচেতনভাবে তাদের কাব্যশৈলী দেখিয়েছেন নানাবিধ ভূমিকায়। হেমন্ত-বন্দনার জন্য কবিকে হাঁটতে হয়েছে বহু ক্রোশ পথ, অপেক্ষা করতে হয়েছে সময়ের পর সময়। চিত্রকল্প কিংবা দৃশ্যকল্পের অবতারণাও হয়েছে হাজারো দৃশ্যায়নের পর। তারপর, লাউয়ের ডগার মতো লিকলিকে শরীরে কবিতা উঠে এসেছে কবির খেরোখাতায়।
লেখক: কবি ও প্রাবন্ধিক

আপনার মতামত দিন

Android App
Android App
Android App
© Natun Feni. All rights reserved. Design by: GS Tech Ltd.