সারা দেশে টানা ৪৮ ঘন্টা পরিবহণ ধর্মঘটে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। ধর্মঘটের প্রথম দিন রবিবার সকালে রাস্তায় সাধারণ পরিবহণের দেখা মেলেনি। ফলে ফেনী শহরসহ ছয়টি উপজেলায় অফিসগামী, স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। রাজধানী ঢাকা বা বন্দরনগরী চট্টগ্রামের দিকে দূর-পাল্লার কোন বাস ছাড়ছে না।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপালে গাড়ীর অপেক্ষায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য মানুষ। গন্তব্যে পৌঁছানোর গাড়ী না থাকায় হেঁটেই রওনা হয়েছে অফিস ও স্কুলগামীরা। কেউ কেউ অতিরিক্ত দাম দিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা দিয়ে নিজ গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
শহরে যানবাহন না থাকায় মানুষের উপস্থিতিও কম। কর্মব্যস্ত শহরে সুনসান নিরবতা। নেই গাড়ীর শব্দ-হর্ণ। ট্রাংক রোড, হাসপাতাল মোড়, কলেজ রোড ব্যস্ত সড়কে নেই শ্রমিক-ড্রাইভারদের হাঁক-ডাক। এসব স্থানে গুটি কয়েক সিএনটি চালিত অটোরিক্সা দেখা মিললেও গণপরিবহণের দেখা মেলা ভার।
একই অবস্থা জেলার সোনাগাজী, দাগনভূঞা, ফুলগাজী, পারশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলায়। এসব উপজেলা থেকে জেলা শহরে আসার যানবাহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। উপজেলার অভ্যন্তরিণ সড়কেও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, সংসদে সদ্য পাস হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’-এর কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবি আদায়ে সারাদেশে ডাকা ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। রবিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘট পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত চলবে। এই সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে লাগাতার ধর্মঘটের ঘোষণাও দিয়েছে সংগঠনটির নের্তৃবৃন্দ।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনিেজটি