একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে জমা দেয়া ৩৪ প্রার্থীর মধ্যে ৭ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেলে জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান। রবিবার বিকালে যাচাই-বাছাই শেষে ২৭ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ও বাকী ৭ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেন তিনি।
জেলা রিটানিং কমকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ফেনী-১ আসনে ১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। সম্প্রতি বিচারিক (নিম্ন) আদালতে দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হলে আপিলে বিচারাধীন অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এ আদেশের প্রেক্ষিতেই তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ছাগলনাইয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুর আহাম্মদ মজুমদার বিএনপির প্রার্থী উল্লেখ করলেও দলীয় মনোনয়নের কপি জমা না দেয়ায় তারটাও বাতিল করা হয়। এ আসনে অপর দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রার্থী আবুল বশর চৌধুরী ও মিজানুর রহমানের মনোনয়পত্র বাতিল করা করা ভুয়া ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ও ভোটার আইডি জমা দেয়া তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
অন্যদিকে ফেনী-৩ আসনে ঋন খেলাপের অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল হয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনির। তিনি সোনালী ব্যাংকের দুটি শাখা থেকে ঋন নিয়ে টাকা জমা দেননি। একই আসনে স্বতন্ত্র হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রিন্টু আনোয়ার ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের কপি ও আইডি কার্ড জমা দেননি। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী ভুয়া ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ও ভোটার আইডি জমা দেয়ার তার মনোনয়নপত্রও বাতিল হয়।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটানিং কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, যাচাই-বছাই শেষে ফেনীর তিনটি আসনে ২৭ প্রার্থী বৈধ ও ৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় রয়েছে ও এপরদিন প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হবে।
উল্লখ্য, পুনঃতফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ নভেম্বর, বাছাই ২ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৯ ডিসেম্বর।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি