ভোটার নেই ফেনীর কেন্দ্রগুলোতে • নতুন ফেনীনতুন ফেনী ভোটার নেই ফেনীর কেন্দ্রগুলোতে • নতুন ফেনী
 ফেনী |
২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভোটার নেই ফেনীর কেন্দ্রগুলোতে

রাশেদুল হাসানরাশেদুল হাসান
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৪:২০ অপরাহ্ণ, ৩১ মার্চ ২০১৯

পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে ফেনীর চারটি উপজেলায় ভোটারদের উপস্থিতি নেই। রবিবার সকাল ৮ টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও বেলা ১১টা পর্যন্ত কোন কোন কেন্দ্রে ভোটারদের দেখা যায় নি। নৌকার প্রার্থী ছাড়া অন্যকোন প্রার্থীর এজেন্টদের কোন কেন্দ্রে দেখা যায়নি। তবে জেলার কোথায় কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

ফেনী সদর উপজেলায় ইবিএমে ভোট গ্রাহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফেনী পৌরসভাসহ উপজেলায়র ১২টি ইউনিয়নের ১২৭টি কেন্দ্রে ভোটের আয়োজন হলেও ভোটারদের দেখা মিলছে না। সকালে ৯টার দিকে ফেনী শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় সেখানে এক ঘণ্টায় একটি ভোট কাস্ট হয়েছে। একই অবস্থা ফেনী সরকারী আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে। এ কেন্দ্রে ২ হাজার ৭১০ জন ভোটার থাকলেও বেলা ১১টা পর্যন্ত ৬১টি ভোট সংগ্রহ হয়েছে। বেলা ১০টারপরও একটাও ভোট পড়েনি মোহাম্মদ আলী বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মঠবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে।

একই অবস্থা ফেনী সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, বারাহিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর খানে বাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শর্শদী উচ্চ বিদ্যালয়, মেজর সালাহ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের কাক্ষিত উপস্থিতি নেই। দাগনভূঞার পশ্চিম রামনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলাইয়াপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুলগাজী উপজেলার আলি আজ্জম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ও সোনাগাজীর সেকান্তর মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়েও ভোটার শুন্য কেন্দ্র দেখা যায়। জেলার চারটি উপজলার সব কটি কেন্দ্রে ভোটারদের অনুপস্থিতি ছিলো লক্ষনীয়।

কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনকালে ভোটাররা জানান, ভোট কেন্দ্রে না যেতে তাদের নানা ভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন সরকারদলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা। অনেক ভোটার কেন্দ্রের আশে পাশের ঘোরাঘুরি করলেও তাদের ভোটকেন্দ্রের দিকে ঘেষতে দিচ্ছেন না তারা। ফলে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বে প্রছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

ফেনী সদর উপেেজলার মঠবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘক্ষণ ঘোরাঘুরি করেও ভোট দিতে পারেন নি ৭০ বছরের ওবায়দুল হক। তাকে ভোট কেন্দ্রে ঢুকতেই দেয়নি বলে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে তাদের সহায়তায় ভোট দিতে সক্ষম হন তিনি।

এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে মাঠে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তিন স্তরের নিরাপত্তায় পুলিশ-আনসার সদস্যদের পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি ও গ্রাম পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। মাঠে রয়েছে নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, জেলার চারটি উপজেলার ২৯২টি কেন্দ্রে ৫ হাজারের অধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিলো।

মেজর সালাহ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা কম স্বীকার করে তিনি বলেন, বেলা ১১টা পর্যন্ত তার কেন্দ্রে ১১৮টি ভোট কাস্ট হয়েছে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন পাটওয়ারি জানান, সদর উপজেলায় প্রথমবারের মতো ইভিএমে নির্বাচন হচ্ছে। এর আগে ভোটারদের প্রশিক্ষণ ও মক ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে বলে তিনি জানান।

আরেক রিটানিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পিকেএম এনামুল করিম জানান, কোন রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ফেনীজেলায় ছয় উপজেলার মধ্যে চারটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হওয়ায় ফেনী সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে, দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলায় বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ও ফুলগাজীতে সকল পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যদিও চেয়ারম্যন পদে একপ্রার্থী সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। অপর দুটি উপজেলার মধ্যে পরশুরাম উপজেলায় সব কটি পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হন ও আইনি জটিলতায় ছাগলনাইয়া উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করে কমিশন।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি/এনকে

আপনার মতামত দিন

Android App
Android App
Android App
© Natun Feni. All rights reserved. Design by: GS Tech Ltd.