কষ্টকর কোনো শরীরচর্চা নয়, শুধু মুখের সাধারণ কিছু ব্যায়াম দিনের মধ্যে অল্প একটু সময় নিয়ে করলেই আপনার বয়সটা স্থিতিশীল হয়ে যাবে! অবাক লাগলেও এটি সত্যি।
আমাদের ত্বকের তিনটি স্তর আছে একেবারে নিচের স্তরটি হলো হাইপোডার্মিস, মাঝের স্তরের নাম ডার্মিস আর বাইরে ত্বকের যে অংশটুকু থাকে তাকে বলে এপিডার্মিস। আপনি যদি সঠিকভাবে ব্যায়ামগুলো করেন, তাহলে প্রতিটি স্তরেই রক্ত চলাচলের হার বাড়বে। ফলে সেগুলো বেশি পুষ্টি আর অক্সিজেন পাবে। বাড়বে কোলাজেন তৈরির হার। স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে উজ্জ্বলতা।
এক.
আয়নার সামনে দাঁড়ান। গাল ফুলিয়ে মুখের মধ্যে বাতাস ভরে নিন। এবার এক গাল থেকে বাতাস অন্য গালের দিকে ঠেলে দিন। এইভাবে যতক্ষণ দম ধরে রাখতে পারবেন ততক্ষণ চালিয়ে যান। তার পর ধীরে ধীরে দম ছাড়ুন। আট থেকে দশবার করুন, তাড়াহুড়া করবেন না।
দুই.
অবাক হলে আমরা ভ্রু কপালের দিকে ঠেলে তুলে মুখটা হাঁ করি। ঠিক সেই অভ্যস করুন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে। মুখ যতটা সম্ভব বড় করে হাঁ করুন, ভ্রুটাও ঠেলে তুলে দিন হেয়ারলাইনের দিকে। চোখ বড় বড় করে রাখুন। যতক্ষণ সম্ভব ধরে রাখতে হবে, তারপর ছেড়ে আবার করুন। আট থেকে দশবার করতে হবে।
তিন.
ঘাড়টা পিছনের দিকে হেলিয়ে দিন যতটা সম্ভব টান টান করে। তারপর হাতের আঙুল দিয়ে গলার ত্বকে মালিশ করুন। সেইসঙ্গে জিভটা ঠেলে তুলে দিন মুখগহ্বরের উপরের দিকে। এইভাবে যতক্ষণ পারেন স্ট্রেচ করুন। আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। এইভাবে দশবার করতে হবে।
চার.
লম্বা শ্বাস নিন। ঘাড় বা মাথা হেলাবেন না, স্রেফ চোখ দিয়ে যতটা সম্ভব উপরের দিকে তাকানোর চেষ্টা করুন। মনে হবে ভ্রুর ভিতরের দিকটা দেখতে পাচ্ছেন। চোখে টান অনুভব করবেন, এর ফলে আপনার চোখের নিচের ফোলাভাব দূর হয়ে যাবে ধীরে ধীরে। অন্তত আট থেকে দশবার অভ্যাস করুন।
পাঁচ.
ভুরুটা সামান্য কুঁচকে নিন, কিন্তু কপালে যেন ভাঁজ না পড়ে। তার পর হাতের আঙুল দিয়ে কপালের ত্বক ঠেলে পাঠান আপনার হেয়ারলাইনের দিকে। এর ফলে মিলিয়ে যাবে কপালের ভাঁজ। আট থেকে দশবার অভ্যাস করুন।
সম্পাদনাঃ আরএইচ/ এনজেটি