‘সুশাসনের জন্য আরো আরো শেখ হাসিনা প্রয়োজন’ • নতুন ফেনীনতুন ফেনী ‘সুশাসনের জন্য আরো আরো শেখ হাসিনা প্রয়োজন’ • নতুন ফেনী
 ফেনী |
২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

‘সুশাসনের জন্য আরো আরো শেখ হাসিনা প্রয়োজন’

নতুন ফেনীনতুন ফেনী
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৭:৩৩ অপরাহ্ণ, ১২ নভেম্বর ২০১৯

‘সারা পৃথিবীতে এক ধরনের অস্থিরতা চলছে। ট্রাম্প থেকে দেশে দেশে একই অবস্থা বিরাজমান। বিশ্বব্যাপী এক ধরনের অস্থিরতা চলছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য নাগরিকদের সোচ্চার ভূমিকা রাখতে হবে। তবেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনরা।’ তারা বলেন, নাগরিকদের কাজ হচ্ছে সরকারের ভুল-ক্রুটি ধরিয়ে দেয়া। সরকার একে বিরোধীতা মনে না করে সহায়ক হিসেবে গ্রহণ করা উচিত।

সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক এর সপ্তদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ফেনী শহরের ডক্টরস রিক্রিয়েশন ক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় তারা এমন মন্তব্য করেন। জেলা কমিটির সভাপতি এডভোকেট লক্ষণ বণিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ ফেনী ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর তায়বুল হক।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট আকরামুজ্জমান, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন খান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর রফিক রহমান ভূঞা, সরকারি জিয়া মহিলা কলেজের প্রাক্তণ অধ্যক্ষ প্রফেসর সন্তোষ রঞ্জন নাথ, প্রবীণ সাংবাদিক মাহবুবুল আলম ও নুরুল করিম মজুমদার, পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহতাব উদ্দিন মুন্না।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন দৈনিক অজেয় বাংলা সম্পাদক শওকত মাহমুদ, ফেনী পোয়েট সোসাইটির সভাপতি মুহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী, সুজন পৌর কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক জাহিদ হোসেন বাবলু, পরশুরাম উপজেলা সভাপতি ইউসুফ বকুল, ফুলগাজী উপজেলা সভাপতি জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, ছাগলনাইয়া উপজেলা সভাপতি কামরুল হাসান লিটন, দাগনভূঞা উপজেলা সহ-সভাপতি কিশান মোশাররফ, ফেনী সদর উপজেলা কমিটির সমন্বয়ক আলী হায়দার মানিক প্রমুখ। এর আগে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গন থেকে র‌্যালী বের হয়ে ট্রাংক রোড প্রদক্ষিণ করে।

প্রফেসর তায়বুল হক বলেছেন, পরিস্থিতি এমন হয়েছে এ থেকে উত্তরণে সময় লাগবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুশাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। অন্যায়-দূর্নীতিকারিদের ধরার সময় এসেছে। এ জন্য আরো আরো শেখ হাসিনা লাগবে। স্মৃতিচারণ করে বর্ষিয়ান এ শিক্ষাবিদ আরো বলেন, ৭০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মাষ্টার্স এ পড়া অবস্থায় পুরোদমে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে ছিলাম। তখন খাজা আহম্মদ দলীয় প্রার্থী। আর রশিদ সাহেবের নাম বাজারে প্রচার ছিল। তখন খাজা সাহেবকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনি বলেছিলেন রশিদ সাহেব প্রার্থী না হলেও ভালো মানুষদের প্রয়োজন আছে। পরে তিনি পে-কমিশনের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন।

অ্যাডভোকেট আকরামুজ্জমান বলেছেন, সুজন সরকার কিংবা কোন রাজনৈতিক দলের প্রতিপক্ষ নয়। এনজিও এমনকি আর্থিক প্রতিষ্ঠানও নয়। সুজনের কাজ মানুষকে সচেতন করা। নাগরিক অধিকার রক্ষায় কাজ করা। এটি নৈতিক দায়িত্ব। এদেশ আমার, দেশকে সমৃদ্ধ করার চিন্তা আমাদের সবার রয়েছে। নাগরিকরা সোচ্চার হলে সরকার আইনের শাসন কায়েম করতে বাধ্য। তবে রাতারাতি সব সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা সহ দেশে অনেক নারকীয় হত্যাযজ্ঞ হয়েছে। কিন্তু এসবের বিচার থামিয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার এসব সম্পন্ন করেছে। অপশাসন থেকে সুশাসন জন্ম নিবে।

প্রফেসর রফিক রহমান ভূঁইয়া বলেছেন, স্বাধীনতার পর অনেক সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সুজন কাজ করছে। আমরা সবাই সুজন হবো। সুজনের বাংলাদেশ চাই।

নুরুল করিম মজুমদার বলেছেন, সুশাসনের কথা বলে সুজন জন্ম হয়েছে। সুজন সহ সবাই সমাজ সচেতন কাজ করবে। সৃমদ্ধশালী রাষ্ট্র হবে এমন প্রত্যাশা করি।

প্রফেসর সন্তোষ রঞ্জন নাথ বলেছেন, বুয়েটের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে কীভাবে আবরারকে হত্যা করা হলো। সোনাগাজীতে অধ্যক্ষের শ্লীলতাহানীর ঘটনা ধামাচাপা দিতে নুসরাতকে হত্যা করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ হয়েছে বলে নুসরাত হত্যার বিচার হয়েছে। আশা করছি আবরার হত্যার বিচারও হবে।

সম্পাদনা:আরএইচ/এইচআর

আপনার মতামত দিন

Android App
Android App
Android App
© Natun Feni. All rights reserved. Design by: GS Tech Ltd.