প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসেবৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্তত ৫৬৩ জন মারা গেছেন। সর্বশেষ তথ্যানুসারে, নতুন ৩ হাজার ৬৯৪ জনসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ১৮ জন। চীনের বাইরে কমপক্ষে ২৪০ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে, যার মধ্যে দুজনের প্রাণহানির ঘটনা রয়েছে।
মঙ্গলবার হংকংয়ে ৩৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি প্রাণ হারান। তিনি কিছুদিন আগেই করোনাভাইরাসের উৎসস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ফিরেছেন। এর আগে, গত সপ্তাহে ফিলিপাইনে মারা যান উহানফেরত আরও একজন।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ডিসেম্বরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থাকা বিভিন্ন দেশের লোকজনকে তারা সরিয়ে নিচ্ছে।
ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি প্রথম শনাক্ত করা হুবেই প্রদেশে এরই মধ্যে এক হাজার শয্যার একটি নতুন হাসপাতাল নির্মাণ করে সেখানে রোগীদের ভর্তি শুরু করেছে এবং প্রদেশটিতে দেড় হাজার শয্যার দ্বিতীয় হাসপাতালটিও কয়েকদিনের মধ্যে খুলে দেয়া হবে।
অধিকাংশ মৃত্যু ও নতুন সংক্রমণের ঘটনাই ঘটেছে হুবেই প্রদেশে, যে প্রদেশের উহান শহরকে এ ভাইরাসের ‘উৎসস্থল’ বলা হচ্ছে। ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে চীনের বেশ কয়েকটি শহর অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে এবং বিশ্বজুড়ে কয়েক হাজার লোককে কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়েছে।
প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল বলে বিবেচিত হুবেই প্রদেশে ভাইরাসটিতে বুধবার আরও ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে ২৯৮৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত ও নতুন করে আক্রান্তের যে সংখ্যা চীনের কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে তার ৮০ শতাংশেরও বেশি এ প্রদেশটিতে ঘটেছে। দেশটির বাকি মৃত্যুর ঘটনাগুলো উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ হেইলংজিয়াংয়ের তিয়ানজিন শহর ও গুইঝৌ প্রদেশে ঘটেছে।
ট্রেন স্টেশন ও বিমানবন্দরের পাশাপাশি রাস্তাগুলোও বন্ধ করে দেয়ায় চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশ প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছে। প্রথমে এই প্রদেশেই ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছিল। প্রাদেশিক রাজধানী উহানের একটি সিফুড মার্কেট থেকে ভাইরাসটির উৎপত্তি বলে মনে করা হয়।
উহান থেকে কয়েক হাজার বিদেশিকে সরিয়ে নেওয়ার পর তাদের নিজ নিজ দেশে কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে ও হংকং বন্দরে দুটি প্রমোদতরীর কয়েক হাজার যাত্রী ও ক্রুকে পর্যবেক্ষণের জন্য জাহাজেই অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি