ভারতের দিল্লিতে মুসলমানদের উপর নির্মম নির্যাতন, মসজিদে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে এবং মুজিববর্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমন ঠেকাতে ফেনীর সোনাগাজীতে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভা ও মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে তৌহিদী জনতা। শুক্রবার বাদ জুমা সোনাগাজী পৌর এলাকার বিভিন্ন মসজিদ থেকে খন্ডখন্ড মিছিল নিয়ে মুসল্লিরা সোনাগাজী বাজারের জিরোপয়েন্টে একত্রিত হয়ে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সোনাগাজী বাজারের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে জিরোপয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হন।
সোনাগাজী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাও. মো. নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও মহেশ্চর জামে মসজিদের খতিব, খেলাফত মজলিশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক মুসার সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সোনাগাজী মডেল থানা জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাও. মো. নিজাম উদ্দিন, সোনাগাজী ফাজিল মমাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মাও. আবুল কাসেম, আতরবানু জামে মসজিদের খতিব মাও. নজরুল ইসলাম, মাও নূরুল ইসলাম, চৌধুরী বাড়ি পুকুর জামে মসজিদের খতিব মাও. জসিম উদ্দিন মোবারক ও মাও. আলমগীর হোসেন প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ভারতে মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদে হামলা করে আগুন দেয়া হয় নাই, মনে রাখবা তোমরা মুসলমানদের কলিজায় আঘাত দিয়েছ। আমরা শুনেছি মুজিবর্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশের শান্তি ও ঐক্যের প্রতিক। এমন একজন মহান ব্যক্তির জন্মশতবার্ষিকীতে একজন সন্ত্রাসী মোদির আগমন মেনে নেওয়া হবেনা। বাংলাদেশের মুসলিম তৌহিদী জনতার রক্তের উপর দিয়ে যদি তাকে আসতে দেয়া হয়, তাহলে আমরা রক্ত দিয়ে মোদির আগমন ঠেকাবো। ইসলাম শান্তির ধর্ম। বাংলাদেশে অন্যসব ধর্মের লোক শান্তিতে বসবাস করবে। আমরা কাউকে আঘাত করবোনা। আমরা ভারতে সন্ত্রাসের মদদদাতা নরেন্দ্র মোদির প্রতি ধিক্কার জানাই। প্রতিবাদ সমাবেশে শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করে।
সম্পাদনা:আরএইচ/এইচআর