নিজস্ব প্রতিনিধি>>
ফেনী সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের মেধাবী ছাত্র জিদান হাসান তন্ময়কে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদ ও খুনিদের ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তার সহপাঠিরা। সোমবার সকালে ফেনী শহরতলীর ছালাহউদ্দিন মোড়স্থ কলেজ থেকে এ উপলক্ষে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর আগে নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি তালতলা এলাকায় জিদানকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া হয়। নিহত জিদান ওই এলাকার ফারুক ঢালীর ছেলে। সে ফেনী টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজের কম্পিউটার বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
নিহতর স্বজনদের বরাত দিয়ে একটি সূত্র জানায়, গত ২৬ ডিসেম্বর দুপুরে স্থানীয় ইলেক্ট্রিক দোকানী রতন কাজ করার কথা বলে মিজমিজি মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফারুক ঢালির ছেলে জিদান হাসান তন্ময়কে নিয়ে যায়। ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে তন্ময়ের বাড়ির সামনে ইজিবাইক দিয়ে নিয়ে তন্ময়ের বাবা ফারুক ঢালীর কাছে লাশ নিয়ে আসে স্থানীয়রা। এসময় বৈদ্যুতিক শর্কসার্কিটে জিদানের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করা হয়। এঘটনায় ২৭ ডিসেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়। ওই সময় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামান ‘মাথায় আঘাতজনিত কারনে রক্তক্ষরণ’ হয়ে জিদানের মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করে ছিলেন। পরে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর ৫ জানুয়ারী নারায়ণগঞ্জের বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত অপমৃত্যু মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করে তদন্ত কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দেন। ১৭ জানুয়ারী আদালতের আদেশ পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক সন্দেহ জনক আসামী রতনকে ২৩ জানুয়ারী ওই মামলায় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড প্রাপ্ত আসামী রতন ওই এলাকার শুক্কুর আলী ছেলে। আসামীর স্বজনরা জানায়, রিমান্ডে রতন ঘটনায় জড়িত আরো ৩ জনের নাম প্রকাশ করেছে।
সম্পাদনা: এনকে