ফেনী সরকারি কলেজে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর ( বিএনসিসি) এর ৪২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ ) সকালে কলেজ প্লাটুনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও কেক কাটার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিমল কান্তি পাল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, প্রফেসর মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, উপধ্যক্ষ ফেনী সরকারি কলেজ, মোঃ মোশারফ হোসেন, সম্পাদক শিক্ষক পরিষদ ফেনী সরকারি কলেজ। এতে আরো উপস্থিতি ছিলেন, এক্স ক্যাডেট আন্ডার অফিসার হাছান মোহাম্মদ মাহফুজ, জিয়াউল হক আরিফ, আজগর আলী, হোসাইন আরমান সহ ফেনী সরকারি কলেজে বিএনসিসি প্লাটুনের ক্যাডেটরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর বিমল কান্তি পাল ক্যাডেটদের উদ্দেশ্য বলেন, তোমার দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিকালীন সময় সময়ে দেশের পাশে ছিলে আগামীতেও এই ভাবে পাশে থাকবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে তোমাদেরকে কাজ করে যেতে হবে। ফেনী কলেজ বিএনসিসি অনেক সমৃদ্ধ একটি প্লাটুন। আমি আশা করি ভবিষৎতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
বিএনসিসির ইতিহাস- ব্রিটিশ সরকার ১৯২০ সালে ভারতবর্ষের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠন করেন “ইউনিভার্সিটি কোর।” ১৯২৩ সালে ভারতীয় দেশরক্ষা বাহিনী আইন-১৯২৩ অনুসারে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় “ইউনিভার্সিটি ট্রেণিং কোর বা ইউটিসি।” ১৯৪৩ সালে এর নাম দেয়া হয় “ইউনিভার্সিটি অফিসার্স ট্রেণিং কোর।”
১৯৭১ সালে পিসিসি ও জেসিসি’র ক্যাডেটরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং ২২ জন ক্যাডেট শহীদ হন। স্বাধীনতার পর “পাকিস্তান ক্যাডেট কোর” নামটির স্থলে “বাংলাদেশ ক্যাডেট কোর” নামটি প্রতিস্থাপিত হয়। ৩১ শে মার্চ, ১৯৭৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ক্যাডেট কোরের তিনটি পদাতিক ডিভিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২৩ শে মার্চ, ১৯৭৯ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একটি সরকারি আদেশ বিসিসি, জেসিসি কে সংগঠিত করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর বা বিএনসিসি প্রতিষ্ঠা করেন ।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে ফেনী সরকারি কলেজ বিএনসিসির তিন জন ক্যাডেট শহীদ হন।
সম্পাদনা:আরএইচ/এইউএ