চট্টগ্রাম বিভাগীয় ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, শনিবারের ঘটনায় অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে। আরো জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেস্টা চলছে। এ সুযোগটা কাজে লাগিয়ে আর একটিও ভাংচুর ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা না ঘটে নে বিষয়ে পুলিশ সতর্ক আছে। সব ধর্মের সব বর্ণের সব শ্রেনীর মানুষ একত্রিত হয়ে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীকে দমন করতে হবে।
ফেনীর ঘটনায় ৬ জন আটক আছে উল্লেখ করে ডিআইজি বলেন, গুজব যাছাই না করে কেউ কান দেবেন না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ বিভ্রান্তি মূলক পোস্ট করবেন না। পোস্ট যাছাই না করে বিশ্বাস করবেন না। প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী রাস্ট্রকে বিব্রত করতে পরিকল্পিত ভাবে হামলা-ভাংচুর ঘটাচ্ছে।
আজ সোমবার দুপুরে ফেনী শহরের কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদ, কালীবাড়ি মন্দির, রাজকালী বাড়ি, তাকিয়া রোডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। এ সময় পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী, ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজি, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি শুসেন চন্দ্র শীল, সাধারণ সম্পাদক অনিল নাথ, ঐক্য পরিষদ সভাপতি শুকদেব নাথ তপন, ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাহার, কালীবাড়ি মন্দির কমিটির সভাপতি বিরাজকান্তি মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার তপন দাস, পুরোহিত বিশ্বপদ সাহা প্রমূখ।
উল্লেখ্যঃ সারা দেশে মন্দিরে-মন্ডপে হামলার প্রতিবাদে শনিবার বিকালে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে ফেনী বড় জামে মসজিদের মুসল্লি, আওয়ামী লীগ, পুলিশ ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম, ফেনী মডেল থানার ওসি মো নিজাম উদ্দিনসহ ১৫/১৬ জন পুলিশ সদস্য এবং অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। এঘটনায় পুলিশের দুই মামলায় ৪শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে।
সম্পাদনা:আরএইচ/এনকে







