দাগভূঞা প্রতিনিধি>>
দাগনভূঞায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ৫ম শ্রেণীর সমাপনি পরীক্ষার পরের বছরই ৪ শিক্ষার্থীকে জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষককে পরীক্ষার হল থেকে প্রত্যাহার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিতভাবে জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানায়, এবারের জেডিসি পরীক্ষায় দাগনভূঞা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ করিমপুর হোসাইনিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ৭৭ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এদের মধ্যে কবির হোসেন (৩৬৫১৮৫), নাজিম উদ্দিন (৩৬৫১৭৮), এনায়েত উল্যাহ (৩৬৫১৭৭) ও আরিফ হোসেন (৩৬৫১৭৫) ২০১৪ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। অভিযোগ উঠেছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ওই মাদরাসার সুপার মাওলানা রুহুল আমিন তাদের রেজিস্ট্রেশন করে জেডিসি পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রে পাঠায়।
জানা যায়, এর আগে কবির হোসেন উপজেলার আজিজিয়া সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ মজুমদারের কাছে অষ্টম শ্রেনীতে ভর্তি হওয়ার জন্য গেলে তিনি তাকে ফিরিয়ে দেন। পরবর্তীতে জেডিসি কেন্দ্রে এসে তাকে দেখতে পেয়ে বিষয়টি শিক্ষকদের জানান। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিষয়টি তদন্ত করে এর সত্যতা পান। বৃহস্পতিবার তিনিসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদা খানম হল পরিদর্শনে গিয়ে তাৎক্ষনিক ও শিক্ষককে প্রত্যাহার দকরে তার দফতরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। তবে ওই শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবারের পরীক্ষা অংশ নিতে দেখা যায় নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মাওলানা রুহুল আমিনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার দেওয়ান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর নতুন ফেনী’কে বলেন, বিষটি তদন্ত করে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জতিড় শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নতুন ফেনী’কে বলেন, অসৎ উপায় অবলম্বন করার দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে যাবতীয় কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে বরা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
সম্পাদনা: আরএইচ/ইআর







