আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট চান ঢাকাস্থ ফেনী সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য শেখ আবদুল্লাহ। দীর্ঘদিন বিএনপির দখলে থাকা ফেনী-১ আসনটি উদ্ধার করতে চান তিনি। তৃণমূল পর্যায়ে জনসেবাা মধ্যদিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার প্রত্যয় নিয়ে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষের সুখ-দু:খে থাকলেও লোক চক্ষুর আড়ালে ছিলেন এ ব্যবসায়ী নেতা। জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক হারে গণসংযোগ ও দলীয় কর্মকান্ডে সরব উপস্থিতির কারণে এ আসনের এখন অত্যন্ত পরিচিত মুখ শেখ আবদুল্লাহ। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড ততই বেড়েই চলছে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরছেন নির্বাচনী এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে। নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন সাধারণ ভোটারদের কাছে।
শেখ আবদুল্লাহ নেতাকর্মী ও সুশীল সমাজের লোকজনকে নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিল্প-সাহিত্যবিষয়ক কর্মকা-ে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছেন। গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে দিচ্ছেন আর্থিক সহায়তা। পৃষ্ঠপোষকতা করছেন দলের ছোট-বড় অনুষ্ঠানে। এভাবে এরই মধ্যে তিনি নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। ফলে আগামী নির্বাচনে শেখ আবদুল্লাহকে মনোনয়ন দিয়ে নৌকার মাঝি হয়ে জনসেবা করার সুযোগ করে দিতে দলের হাইকমান্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা।
শেখ আবদুল্লাহ ২০১১ সালে হজ্ব এজেন্সি এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র (হাব) মহাসচিব নির্বাচিত হন। পর পর দুই সেশন এ প্রতিষ্ঠানে মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরবর্তীতে চলতি বছরের জুনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঢাকাস্থ ফেনী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। এছাড়াও শেখ আবদুল্লাহ সেবামুলক অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত রয়েছেন।
এর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে দলের জেলা সহ-সভাপতি খায়রুল বাশার মজুমদার তপনের নাম ঘোষণা করা হয়। পরে জোট থেকে জাসদ নেত্রী শিরীন আখতারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। নির্বাচনে জয়ী হন তিনি। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও এ দুইজন মনোনয়ন পাওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন স্থানে অংশগ্রহণ করছেন। অপরদিকে ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলও এ আসনে মনোনয়ন পেতে চেষ্টা, তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্বাধীনের পর ফেনী-১ আসনে প্রয়াত সাংবাদিক এবিএম মূসা নৌকা প্রতীকে প্রথম এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর পর আজ পর্যন্ত এ আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী হয়েও নৌকা প্রতীক নিয়ে কেউ এমপি হতে পারেননি। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পৈতৃক ঠিকানা ফুলগাজী উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর মজুমদার বাড়ি হওয়ায় তিনি একাধিকবার এ আসনে জয়ী হয়েছেন। এবার বিএনপির দখল থেকে আসটি উদ্ধার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি।
ইতমধ্যে তিনি নির্বাচনী এলাকা ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া-পরশুারাম ও ফুলগাজী) আসনে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। গ্রামাঞ্চলে সাধারণ ভোটারদের কাছে গিয়ে নৌকার সমর্থনে ভোট চেয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সরকারের উন্নয়নের লিপলেট বিলি করছেন। এছাড়াও সাধারণ ভোটারদের
এ ব্যাপারে সান্জরি গ্রুপের চেয়ারম্যান শেখ আবদুল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন-আদর্শ বাস্তবায়ন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার নিমিত্তে কাজ করে যাচ্ছি। এমনিতেই নৌকার পক্ষে কাক করে আসছি তবে জনপ্রতিনিধি হলে আরও ভালো কাজ করতে পারবেন বলে তিনি আশা করেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফেনী-২ আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর সার্বিক সহযোগিতায় যদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাই, তাহলে জয়ী হয়ে তৃণমূল পর্যায়ে জনসেবার মাধ্যমে ফেনীসহ দেশকে আরও এগিয়ে নেব। এ আসনের মানুষের জন্য কাজ করবো।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি