ইভিএম নিয়ে বিড়ম্বনায় দাগনভূঞার ভোটাররা ফেনী প্রতিনিধিঃ বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনার মধ্য দিয়ে ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার ভোট গ্রহন চলছে। সকাল ৮ টা থেকেই ভোটারদের লাইনে দাড়িয়ে ভোট দেয়ার দৃশ্য ছিলো চোখে পড়ার মত। তবে প্রথমবারে ইভিএম মেশিনে ভোট দিতে এসে ব্যাপক বিড়ম্বনায় শিকার হচ্ছেন ভোটাররা। এ নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে আছেন ভোট গ্রহন কর্মকর্তারাও।
উত্তর করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার লাইনে দাড়ানো খোদেজা আক্তার জানান, তিনিসহ মহিলারা প্রায় ১ ঘন্টা যাবৎ লাইনে দাড়িয়ে আছেন। খুব ধীর গতিতে ভোট গ্রহন হচ্ছে। ভোট দেয়ার জন্য এতোক্ষণ দাড়িয়ে থাকা কষ্টকর।
গনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের মহিলা ভোটার হারাধন বিয়া জানান, ইভিএম মেশিনে কিভাবে ভোট দিতে হয় আমরা তা জানিনা। ভোটের আগে ইভিএম প্রাকটিস জরুরী ছিলো বলে দাবী করেন তিনি।
রামানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, নৌকার এজেন্টরা ভোট কক্ষের গোপন ব্যালট রুমে অবস্থান নিয়েছেন। নৌকার এজেন্ট খালেদা আক্তার ও জাকির হোসেন জানান, ভোটারদের সহযোগিতার জন্যে বারবার গোপন কক্ষে আসতে হচ্ছে। ভোটাররা ফ্রিঙ্গার প্রিন্ট দেয়ার পর বাকী পর্যায়ের সহযোগিতার জন্যে আমরা এ কক্ষে রয়েছি।
আবদুল কাদের নামের এক ভোটার জানান, তিনি ডালিম মার্কায় ভোট দিতে চাইলে ভেতরে থাকা এজেন্টের লোকটি আমাকে সহযোগিতার কথা বলে অন্য প্রার্থীর উটপাখি মার্কায় ভোট দিয়ে দেন।
গনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার গোলাম কিবরিয়া জানান, ভোটারদের কাছে ইভিএম ইভিএম নতুন ধারনা। তাই সময় ও বিড়ম্বনা বেশি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রচারনা কম হওয়ায় নানা সমস্যা সৃস্টি হচ্ছে।
দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, ইভিএমে ভোট দেওয়ার বিষয়ে নানা ভাবে প্রচারণা চালানো হয়েছে। তারপরও কোন ভোটার কিছু না বুঝলে সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের সহায়তা নিতে পারে। কোন প্রার্থীর এজেন্ট গোপন ব্যালট কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেনা।
সম্পাদনা:আরএইচ/এনকে