দেশবরেণ্য গীতিকার ও সুরকার আলাউদ্দিন আলী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর মহাখালীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী।
দীর্ঘদিন ধরে নানা অসুখে ভুগছিলেন আলাউদ্দিন আলী। ২০১৫ সালের ৩ জুলাই তাকে ব্যাংকক নেওয়া হলে সেখানে পরীক্ষার পর জানা যায়, তার ফুসফুসে একটি টিউমার রয়েছে। এরপর তার অন্যান্য শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি ক্যান্সারের চিকিৎসাও চলছিল। এর আগে বেশ কয়েক দফায় তাকে আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
দেশ-বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে খানিকটা সুস্থ ছিলেন আলাউদ্দিন আলী। ফিরেছিলেন গানেও। তবে শনিবার ভোর পৌনে ৫টায় হঠাৎ করে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে তাকে মহাখালীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখে লাইফ সাপোর্টে রাখার পরামর্শ দেন।
আজ রোববার দুপুর ২টায় খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায় ঝুঁকি কাটেনি কিংবদন্তি এই সুরকারের। বরং প্রস্রাব আটকে যাওয়াসহ বেশকিছু নতুন জটিলতা দেখা দিয়েছে। সব রোগ আর জটিলতাকে কাটিয়ে এবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই গীতিকার ও সুরকার।
আলাউদ্দিন আলী এ পর্যন্ত ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ১৯৭৮ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার পুরস্কৃত হয়ে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। যে রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেনি।
আলাউদ্দিন আলী ১৯৭৫ সাল থেকে সঙ্গীত পরিচালনা করে বেশ প্রশংসিত হন। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’ এবং ‘যোগাযোগ’ চলচ্চিত্রের জন্য ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
এছাড়া ১৯৮৫ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তার সুর করা গানের সংখ্যা ৫ হাজারেরও বেশি।
সম্পাদনা: আরএইচ/ এনজেটি