নিজস্ব প্রতিনিধি>>
ফুলগাজী উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি একরামুল হক একরাম হত্যাকান্ডের রায় ঘোষণার পর কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আসামী ও তাদের স্বজনরা। মঙ্গলবার বিকালে মঙ্গলবার বিকালে জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হক এ মামলার রায় ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে অনেককে আহাজারি করতে দেখা যায়।
ওই দিন বিকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে গ্রেফতারকৃত ৩৬ আসামীকে আদালতে আনা হয়। এরআগে দুপুর থেকে আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকে আসামীর স্বজনরা। বিকাল তিনটা ১৬ মিনিটে বিচারক রায় পড়া শুরু করলে স্বজনদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা হয়। বিচার এ মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ৩৯ জনকে মৃত্যুদন্ড, ১৬জনকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। এসময় এজলাসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বেশ কয়েকজন আসামী। আহাজারি করতে আল্লাকে স্বাক্ষী করতে দেখা যায় অনেকে। অনেক আসামীর স্বজনকে কান্নায় লুটিয়ে পড়েতে দেখা যায় আদালত প্রাঙ্গণে।
এর আগে ২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমীস্থ বিলাসী সিনেমা হলের সামনে ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি একরামুল হক একরামকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে তাকে বহনকারী গাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। ঘটনায় একই দিন রাতে নিহত একরামের বড় ভাই বাদী হলে বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন মিনারকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় একই বছরের ২৮ আগষ্ট পুলিশ ৫৬ জনকে আসামী করে চার্জশীচ দাখিল করে।
সম্পাদনা: আরএইচ/ এনকে/এনইউসি/ ইএইচ







