আর মাত্র দশদিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর। তাই ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ছাগলনাইয়ায় ঈদের বাজার তত জমে ওঠছে। বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। প্রতিদিন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শহরের বিভিন্ন বিপণী বিতানে কেনাকাটা ও পছন্দের শাড়ি জামা কাপড় দেখতে আসছেন ক্রেতারা।
শহরটি আকারে ছোট হলেও এখানে অনেকগুলো নামিদামি মার্কেট রয়েছে। এবার ঈদ বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বেশি নিউ মার্কেট, মীর শপিং কমপ্লেক্স, আহসান উল্লাহ টাওয়ার, হাজী বি জামান মার্কেট, ইসলাম প্লাজায়। দেশের নামীদামী ব্রান্ডের জিনিসপত্র সমাহার রয়েছে এই মার্কেটগুলোতে। তাছাড়া খোলামেলা ও বৃহৎ পরিসরে ঘুরে ফিরে কেনাকাটার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পৌর শহরের প্রায় সব মার্কেটেই ঈদের কেটাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। শহরের পুরনো মার্কেট মীর শপিং কমপ্লেক্স। এ মার্কেটে ঈদ ছাড়াও ক্রেতাদের ভিড় লেগে থাকে সবসময়ই। বর্তমানে ঈদের বাজার আরো গরম দেখা যায়। ঈদে কেনাকাটায় সেরা স্থান দখল করে আছে এই মার্কেটটি। সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ক্রেতারা এখানে কেনাকাটায় ব্যস্ত। এবারের ঈদের বাজারে পুরুষের চাইতে মেয়েদের ভিড় বেশি। উঠতি বয়সি তরুণ তরুণী আর মাঝবয়সি নারীরা শহরের বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে ঈদ বাজারে ভিড় করছেন।
বিক্রেতারা জানান, এবারের ঈদে তরুনীদের পছন্দের মধ্যে বোম্বে জামা, পাকিস্তানী জামা, টিস্যু জামা, রাউন্ড জামা, ইন্ডিয়ান গ্রাউন্ড, ভার্বি গ্রাউন্ড, টিস্যু গ্রাউন্ড, সরনী ফ্যাশনের জামা, রৌশনী ফ্যাশনের জামা, এস ফ্যাশনের জামা, থ্রি-পিচ, বিনয়, বিরেক ও হানচা জামা বেশি বিক্রি হচ্ছে।এদিকে শাড়ির মধ্যে ইন্ডিয়ান কাতান, বেনারসি, জর্জেট, ঢাকাই জামাদানী, কাতান শাড়িগুলো বিশেষ করে মহিলা ক্রেতা সাধারনের কাছে বেশি বিক্রি হচ্ছে। পুরুষ ক্রেতাদের পাঞ্জাবী দোকানেও ভিড় করতে দেখা গেছে এবং শিশুদের বেবীসপগুলোতে ভিড় ছিল লক্ষনীয়।
ইসলাম প্লাজা মার্কেটে শাড়ি কিনতে আসা পৌর কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, কাপড়ের দাম ক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। ক্রেতাদের উপস্থিতিও অনেক ভালো। আমি পরিবার নিয়ে এসে তাদের জন্য শাড়ি ও জামা কাপড় ক্রয় করেছি। তাছাড়া মার্কেটের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও অনেক ভালো। তাই মানুষ নির্বিঘ্নে রাতের বেলায় কেনাকাটা করতে এসেছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গতবারের চেয়ে এবারের বেচাবিক্রিতে তারা সন্তষ প্রকাশ করেন। ঈদে ক্রেতা সাধারণের নিরাপত্তার বিষয়ে কয়েকটি মার্কেটের সভাপতি-সম্পাদক জানান, এবারের ঈদে মার্কেটগুলোতে প্রশাসন এবং মার্কেট কমিটির পক্ষ থেকে সর্বচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটা মার্কেটের ভেতরে বাইরে বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। কোন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটবেনা এবং ক্রেতা সাধারন নির্বিঘ্নে তাদের পছন্দের কেনাকাটা করে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সম্পাদনাঃ আরএইচ/এমকেএইচ