ছাগলনাইয়ায় ঘর না পাওয়ার হতাশা ও বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিলের স্ত্রী ষাটোর্ধ পারুল বেগম।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মহামায়া ইউপির মাটিয়াগোধা গ্রামে চাঁদগাজী ভুঁঞা মসজিদ সংলগ্ন দীঘির পাড়ে অন্যের জায়গার উপর জরাজীর্ণ ছোট্ট একটি টিনের ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করতেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুল জলিলের অসুস্থ স্ত্রী পারুল বেগম, চার মেয়ে, একমাত্র প্রতিবন্ধী ছেলে মজিবুল হক ও তার পরিবার। দুই বছর আগে জেলা প্রশাসক বরাবর ঘর নির্মাণের জন্য একটি লিখিত আকুতি জানালেও ঘর না পাওয়ার হতাশা এবং টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে না পারায় মঙ্গলবার সকালে মারা গেলেন ষাটোর্ধ অসুস্থ পারুল বেগম। তিনি দীর্ঘদিন যাবত দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও দেখা মেলেনি সুখের ছোঁয়া। পাননি কোন সরকারি বেসরকারি সাহায্য সহযোগিতাও। দীর্ঘদিন যাবত দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ষাটোর্ধ অসুস্থ মা’কে নিয়ে হতাশায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউপির মাটিয়াগোধা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুল জলিলের একমাত্র ছেলে প্রতিবন্ধী মজিবুল হক। সরকারীভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ঘর বরাদ্দ থাকলেও পায়নি কোন ঘর।
দীঘির পাড়ে ছোট্ট একটি খুবরীর মধ্যে অসুস্থ মা পারুল বেগম, চার বোন এবং দুই শিশু কন্যাকে নিয়ে কেটে যাচ্ছে তাদের দিন। “মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল’র পরিবার এবং অন্যের জায়গায় ঝুপড়ি ঘরে বসবাস মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের” নিয়ে চলতি বছরের মার্চ মাসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হলেও কোন সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস না পেয়ে হতাশায় এবং দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ হয়ে বিনা চিকিৎসায় মঙ্গলবার ঈদের দিন সকালে মারা গেলেন বৃদ্বা পারুল বেগম।
সম্পাদনাঃ আরএইচ/এমকেএইচ