সফলতার হাতছানিতে দাগনভূঁঞার কৃষক এম এ খালেক’র পেঁপে চাষ। শুধু পেঁপে নয় তার বাগানে রয়েছে ৩৭ প্রজাতির ফল গাছ। পাশাপাশি রয়েছে মাছ চাষ, সবজি চাষ, হাঁস- মুরগি, গরু, ছাগল পালন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামের হাজী এম এ খালেক তার পেঁপে বাগানে নিবিড় পরিচর্যা করে যাচ্ছেন। নতুন ফেনী’র এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে খালেক বলেন, এক বছর আগে তার ৭২ শতক জায়গাতে গড়ে তুলেন হাজী এগ্রো ফোডাক্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান। সেখানে তিনি গ্রীন হাউজ এর মাধ্যমে চাষাবাদ করছেন।
পেশায় একজন ঠিকাদার হলেও কৃষিকে খুব অল্প সময়ে আপন করে নিয়েছেন। তার বাগানে ৩ প্রজাতের পেঁপে গাছ আছে। প্রতিটি পেঁপে গাছে ৮০ থেকে ৯০ কেজি পর্যন্ত পেঁপে ধরেছে। তাও আবার পেঁপে গাছের বয়স মাত্র আড়াই থেকে তিন মাস। এছাড়াও আট প্রজাতির আম গাছ, জাম্বুরা গাছ, জলপাই গাছ, লিচু গাছ, নারিকেল গাছ, সুপারি গাছ, পেয়ারা গাছ সহ ৩৭ প্রজাতির ফল গাছ রয়েছে তার এই বাগানে।
তিনি আরো বলেন, এই মুহূর্তে পেঁপে গাছ থেকে সুফল পাচ্ছেন। এছাড়া অন্য ফল গাছগুলো থেকে আগামী বছর থেকে সুফল পাবেন বলে মনে করছেন তিনি। অন্য ব্যবসা থেকে কৃষি ব্যবসা অধিক লাভজনক হওয়ায় তিনি বর্তমানে পেঁপে চাষকে বেছে নিয়েছেন। তিনি মনে করেন বর্তমান বাংলাদেশের তরুণ-যুবকদের পড়ালেখার পাশাপাশি কৃষিতে সময় দিলে বাংলাদেশ কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে এবং দেশের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বিদেশে রফতানি করা যাবে।
সম্পাদনাঃ আরএইচ/এমকেএইচ