মোঃ শরীফুর রহমান আদিল>>
প্রশ্নপত্র ফাঁস, বর্তমান বাংলাদেশের সাধারণ ও নিত্যনৈমিত্তিক এক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। চাকুরীর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র থেকে শুরু হয়ে এটি কোমলমতি শিশুদের ক্ষেত্রেও এটি একটি সাধারণ ও অনিবার্য ঘটনা হয়ে গেছে। মেডিক্যাল ও ডেন্টাল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস অভিযোগের মধ্য দিয়ে ব্যাপারটি আবারও সবার নজরে আসে। তবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা বাংলাদেশে নতুন কিছু নয় বরং দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৯ সালে মেট্রিকুলেশান পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সর্বপ্রথম স্বাধীন বাংলাদেশে ফাঁস হয়। সে থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সূর্য উদিত হয়েছে তা এখনো অস্ত যায়নি। তবে এটি পৃর্ণাঙ্গ কিরণ দেয় ২০১১ সাল থেকে। এসময় থেকে এমন কোন বছর নেই যে সময়ে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেনি। পিএসসি পরীক্ষা থেকে শুরু করে সরকারী চাকুরী এমনকি বিসিএিস পরীক্ষার প্রশ্ন সবই এদেশে ফাঁস হয়েছে। ফাঁসকারীরা ধরাও পড়েছে কিন্তু হয়নি শুধু কোন বিচার তাই পরের বার একই ঘটনার পুণরাবৃত্তি! আমদের আশংকা দৃষ্টান্তমুলক কোন শাস্তি না দেওয়ায় এ ধরণের অপরাধ ঘটছে বারংবার। আবার এই ধরণের ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে অনেকে আবার হয়েছে কোটিপতি। বিনা পারিশ্রমে আর বিনা কষ্টে কোটিপতি হওয়া গেলে আবার কোন শাস্তি না পাওয়া গেলে এ পথে মানুষ আসতে উৎসাহিত হবে না কেন? কিন্তু প্রশ্ন হলো এভাবে ঢালাওভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে রাষ্ট্র আমাদেরকে কি উপহার দিচ্ছে? সরকার ইতোমধ্যে ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১ ঘোষণা করেছে আর এ লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে অবশ্যই মেধাবীদের স্বচ্ছভাবে নিযোগ দিতে হবে। আগামী দিনে রবাংলাদেশকে ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত আর উন্নত বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশকে অবশ্যই সর্বজায়গায় প্রকৃত মেধাবীদের নিয়োগ দিয়ে এর কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। অন্যথায় সরকারের নেয়া এসব ভিশন-মিশন ভেস্তে যেতে পারে। এক সময় আমাদের দেশ থেকে ডাক্তারি বিষয়ে পড়াশুনা করতে বিদেশে যেত কিন্তু দেশে এ বিষয়ে পড়ালেখার সুযোগ উন্মুক্ত হওয়ায় বিদেশ গিয়ে পড়াশুনার যে প্রবণতা তা অনেকাংশে কমে আসছে। কিন্তু যদি এ ধরণের অশুভ কার্যকম চলতেই থাকে তবে বিদেশ যাত্রার হার আবারো বাড়বে এবং দেশে এ বিষয়ে পাঠদান ও চিকিৎসা আবারো হুমকির মধ্যে পড়বে। এভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস আর সেই প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়া হলে সামনে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রতি মনোযোগ কমে তারা এর উপর নির্ভর করে থাকবে আবার চাকুরীর ক্ষেত্রে এর মাধ্যমে মেধাবীদের অবমূল্যায়ন করা হবে। অনেকে আবার এ ধরণের পরীক্ষার মাধ্যমে হবু উর্ত্তীণ ডাক্তার এবং তাদের চিকিৎসা নিয়ে সংশয় জানিয়ে আসছেন। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে ডাক্তারদের আচরণ ও ভুল চিকিৎসার ফলে অনেক রোগী মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। জানিনা তাদের জীবনের সাথে এ ধরণের কোন কিছুর অভিযোগ ছিলো কিনা?
গতবছর পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার পরে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আর শিক্ষামন্ত্রী ও বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন এটা সাজেশন্স! কর্তৃপক্ষের এমন বক্তব্যের মধ্যদিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের মনে হয় আরো সুবিধা হলো অর্থ্যাৎ তারা মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রশ্নফাঁসের আরো এক অভিনব পদ্ধতি রপ্ত করতে পারলেন। এ হিসেবে তারা শিক্ষামন্ত্রী আর বোর্ড চেয়ারম্যানের নিকটে চির কৃতজ্ঞ থাকবেন মনে হয়। কারণ এভাবে প্রশ্ন ফাসঁ হওয়ার পরও মন্ত্রীর পরের উক্তি – পরীক্ষা স্বচ্ছতার মধ্যে হয়েছে বলে মন্তব্যের দিয়ে তাদের সাহস আর মনোবল আরো কয়েকগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। ফলে পরের কয়েকটি চাকুরীর পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হয়েছে তবে তা সাজেশন্স আকারে! অর্থ্যাৎ মুল প্রশ্নপত্র ১০০ টি হলেও সেখানে মুল প্রশ্নসহ দেয়া হেয়ছে ৪০০-৫০০ টি এট এজন্যই করা হেয়েছে যাতে করে কেউ বিষয়টি জানতে পারলে সাজেশন্স বলে দায় এড়ানো যায়!
এক সময়ে নকল করাকে চুরি হিসেবে গণ্য করে এর বিরুদ্ধে প্রবল জনসচেতনা সৃষ্টির পাশাপাশি সরকারও কঠোর পদক্ষেপ নিতে দেখেছি তাই আজ বাংলাদেশের পরীক্ষার হলগুলো বলা চলে নকলমুক্ত। কিন্তু প্রশ্নফাঁস মুক্ত নয়। নকলকে চোরের সাথে তুলনা করলে প্রশ্নফাঁসকে ডাকাতের সাথে তুলনা করতে হবে কেননা এটি নকলের আধুনিক ও সবচাইতে কার্যকারী সংস্করণ। এই সংস্করণের মধ্যদিয়ে যেকোন পরীক্ষার্থীই তাদের কাক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সার্মথ্য হবে কেননা আগে নকল নিলে তা পরীক্ষা আসতো কিনা তার কোন নিশ্চয়তা থাকতোনা কিন্তু এখনকার নকল হলো পুরোপুরি আসল প্রশ্ন! শিক্ষাবিদদের মতে, প্রতিবছর পাবলিক পরীক্ষায় ঢালাওভাবে প্রশ্নফাঁস না হলে পরীক্ষার পাশের হার আরো কমতো । কিন্তু সরকার পাশের হার বেশীকরে দেখানোর প্রবণতা থেকে প্রশ্নফাঁস কারীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করেনি। বরং আরো নবনব কৌশল অবলম্বনে আরো ব্যাপকভাবে সহায়তা করেছে। আর তার প্রমাণ এবারের মেডিক্যাল ও ডেন্টাল পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনা। মেডিক্যাল ও ডেন্টাল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হলো এবং এটি ১৫ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ্য টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে অেিভযোগ পাওয়া গেছে ফলে যাদের টাকা ছিলো তারা প্রথমেই ১০-১৫ লাখ টাকা দিয়ে প্রশ্নপত্র কিনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পরীক্ষায় সবোর্চ্চ নাম্বার !
জেএসসি, এসএসসি আর এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ফলে অনেকে অংকে ও ইংরেজীতে এ+সহ গোল্ডেন এ+ পেয়েছে। কিন্তু এসব এ+ পাওয়া শিক্ষার্থীদের অনেকে গোল্ডেন শব্দটিও বানান করতে পারেনা !
সরকার বলে আসছে কোন প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। কিন্তু যারা প্রশ্নপত্র পেয়ে নিজেদের ফেসবুক টাইম লাইনে চান্স পাওয়ার আনন্দ আর প্রশ্নপত্র সরবরাহকারীদের তথা ফাঁসকারীদের ধন্যবাদ দেওয়া হয়েছে। এতে করে কি প্রমাণিত হয়না যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে? আবার তর্কের খাতিরে যদি ধরেই নিই যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি তবে প্রশ্ন হচ্ছে এসব ঘটনার দায়ে যে কয়জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের পরে ছেড়ে দেওয়া হলো না কেন? কেনইবা পরে রংপুর থেকে চিকিৎসকসহ আরো ৩জনকে আটক করা হলো? যদি প্রশ্নপত্র ফাঁসই না হয় তবে এদের গ্রেফতারের রহস্য কি? তবে আশার কথা হলো সরকার এ বিষয়ে ৪ জনের একটি তদন্ত কমিটি গঁঠন করেছে সেখোনে যদি প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে এ পরীক্ষা কি বাদ দিয়ে পুনরায় পরীক্ষায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামানোর ব্যবস্থা করবেন? সেখানে কি দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থার সুপারিশ করা হবে? আবার কৌতুহলি মনে প্রশ্ন জাগে সরকারের এ কমিটি লোক দেখোনো নয়তো ? সন্দেহের তীর যদি সত্যি থেকে থাকে তবে কেন ফলাফল প্রকাশ করা হলো? আর ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের সন্দেহের তীর আরো ভারী হতে হলো পরীক্ষার আগের দিন থেকে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যায় তখন কেন কর্তৃপক্ষ পরীক্ষাটি স্থগিত করলোনা? শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আরো চাঙ্গা হয় যখন ফলাফল প্রকাশের পর জানা যায় যে মোট ২ হাজার জন ৮০ মার্ক পেয়েছে যা গতবারের সর্বোচ্চ না¤¦ার! তাদের ধারণা প্রশ্নফাঁস ছাড়া একসাথে এতো জন এতবেশি নাম্বার পেতে পারেনা। এবারের মেডিক্যাল ও ডেন্টাল পরীক্ষায় মোট ৮৪ হাজার পরীক্ষার্থী সরকারী ও বেসরকারী মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের ১১ হাজার আসনের বিপরীতে উর্ত্তীণ হয়েছে ৪৮ হাজার তার মধ্যে সবোর্চ্চ নাম্বার ১৮৮.৭৬ আর সর্বনিন্ম নাম্বার হলো ১৭৬! এই ফলাফলই কোননা কোনভাবে শিক্ষার্থীদের করা অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য মনে হয় যথেষ্ট।
পবিত্র ইদুল আযহা উপলক্ষ্যে নাড়ীর টানে যেখানে মানুষ বাড়ি ফিরতে ব্যস্ত সেখানে মেধা মূল্যায়নের সুযোগ থেকে বঞ্চিত এসব আন্দোলনকারীদের জায়গা শিক্ষার ন্যায়পরায়নতার জন্য প্রাণ দেয়ার স্মৃতিস্তম্ভ সেই শহীদ মিনারে যেখানে ঈদের দিন মানুষ কোলাকুলিতে সময় পার করছেন, সেখানে বঞ্চিত এসব মেধাবীরা বিক্ষেভ আর স্লোগানে দিন পার করেছেন। যা সত্যিই অন্তর ছিঁড়ে যাওয়ার মতোই ঘটনা। ইতোমধ্যে টিআইবি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তুলছে সুতারং উপরোক্ত সকল বিষয় বিবেচনা করে মেডিক্যাল ও ডেন্টাল পরীক্ষার ফলাফল বাদ দিয়ে পুণরায় পরীক্ষা নেয়া সময় , দেশবাসী আর দেশের জন্য শহীদ হওয়া মানুষের আতœার দাবী।
তদন্ত রির্পোট জমা দেওয়ার পরে যদি প্রমাণিত হতো যে প্রশ্নফাঁস হয়নি তখন কি এই রেজাল্ট দেয়া যত না? কেন বারবার বিজি প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ছাপনো হচ্ছে? কেননা, এর আাগেও এ কারখানা থেকে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে কয়েকজন কর্মচারীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে কিন্তু তদন্ত কমিটির রিপোর্টে সুপারিশ কখনোকি বাস্তবায়ন করা হয়েছে? অন্যদিকে, চাকুরীর প্রশ্নফাঁসের কারণে দেখা গিয়েছে যে, যে প্রতিযোগী প্রশ্ন বুঝার ক্ষমতা নেই কিন্তু প্রশ্নফাঁসের কল্যাণে সে ডিকশনারী খুলে অথবা বড় ভাইদের কাছ থেকে বুঝে সেই উত্তর দিয়ে পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছে ফলে নিয়োগ পাওয়া সেই প্রতিযোগী ও দ্বারা দেশ কি ধরণের উন্নতি সাধন করবে তা সহজেই অনুমেয়।
সবচেয়ে আশংকার জায়গাটা হলো কোমলমতি শিশুদের পরীক্ষা তথা পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা। এর মধ্যদিয়ে আমরা তাদের কি শিক্ষা দিচ্ছি? এতেকরে তারা কি আগামীতে এর পেছনে ছুটবেনা অথবা কি করে বা কি উপায়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করানো যায় সে দিকে ছুটবে ? প্রশ্নপত্র ফাঁসের মধ্য দিয়ে আমরা কি মেধাবীদের সৃজনী শক্তিকে ধ্বংস করে দিচ্ছি না? এর ফলে আমরা কি তাদের পড়ালেখা মুখি না করে বরং এক ধরণের অশুভ কাজের পেছনে লিপ্ত করে দিচ্ছিনা? এতে করে আমরা কি তাদের অনৈতিক পথের দিকে ধাবিত করছিনা? যেখানে নৈতিকতার হাহাকার সেখানে আমরা শিশুদেরকে নেতিকতার পথ শিক্ষা না অনৈতিক হওয়ার পথে চিনাচ্ছিনা কেন? এভাবে প্রশ্নফাঁসের ফলে দেশের শিক্ষার্থীদের ক্লাশ বিমুখ করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যেমনিভাবে ধ্বংস হচ্ছে ঠিক তেমনি আবার শিক্ষকদের মান ও অন্যান্য সুবিধা কমানোর জন্য সুযোগ পাচ্ছে সরকার। দেখা যাচ্ছে যে, শিক্ষার্থীরা ক্লাশে না গিয়ে এবং শিক্ষকের সহাচর্য না পেয়েও সেসব শিক্ষার্থীরা এ+ পাচ্ছে এবং পাশের হার দিনদিন জ্যামিতিক হারে বাড়ছে সুতারং সরকার শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াবে কেন? ফলে শিক্ষকদের রাস্তায় নেমে সুযোগ- সুবিধা বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করতে হয় আর সহ্য করতে হয় পুলিশের পিপার স্প্রে, বুটের লাথি আর জলকামানোর মতো কষ্টদায়ক শাস্তি। কখনোবা তাদের জেলখানায় থাকতে হয় কয়েক বছরের পর বছর। জেএসসি, এসএসসি আর এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ফলে অনেকে অংকে ও ইংরেজীতে এ+সহ গোল্ডেন এ+ পেয়েছে। কিন্তু এসব এ+ পাওয়া শিক্ষার্থীদের অনেকে গোল্ডেন শব্দটিও বানান করতে পারেনা ! এটি অবশ্যই জাতিয় শিক্ষা ও বুদ্ধির জগতকে বধংশের প্রথম নির্দশন বলা যেতে পারে। বলা হচ্ছে গত দুই বছর এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস না হলে এসএসসি পরীক্ষার পাশের হার হত ২৫-৩০%! আবার এসব শিক্ষার্থী আবার বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা চাকুরীর প্রশ্নপত্র পেয়ে পরীক্ষা দিবে এবং নিয়োগ পেলে দেশের কি অবস্থা হবে তা এখন ভাবার সময় এসেছে।
উপরোক্ত বিষয়টির মধ্যদিয়ে জনমনে বেশ উদ্বেগের সাথেই প্রশ্নের অবতারণা করে আর তা হলো এধরনের প্রশ্ন ফাঁসের সংস্কৃতি থেকে জাতি মুক্তি পাবে কবে? না কি এটি একটি সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়াবে? প্রশ্নফাঁস না করে সবাই তাদের নিজের জ্ঞান, দক্ষতা দিয়ে পরীক্ষার হলে পরীক্ষা দিবে এবং সবাই তার নিজ যোগ্যতা দিয়ে স্ব-স্ব অবস্থানে যাবে। তারা দেশকে সমৃদ্ধিও পথে নিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা পুরো দেশবাসীর। সকল নাগরিকের একইসাথে আগামীতে আর যেন কোন প্রশ্নপত্র ফাঁস না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কঠোর আইন করে অথবা, বিদ্যমান আইনের প্রয়োগ করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করলে ও বিজি প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র না ছাপিয়ে অন্যকোন প্রেস থেকে ছাপিয়ে এবং ডিজিটালভাবে তা বন্টনের ব্যবস্থা করলে এ ধরনের অশুভ প্রতিযোগিতার দৌঁড় অনেকাংশে কমে আসবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
লেখক: প্রভাষক, দর্শন বিভাগ, ফেনী সাউথ-ইস্ট ডিগ্রী কলেজ, ফেনী।







