মোঃ শরীফুর রহমান আদিল
ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পর থেকে বর্তমান বিশ্বে পশ্চিমাদের ভয়ের এক নাম আইএস, প্রতিদিন নিত্য নতুন জায়গা দখল, আবার কোনো কোনা দেশের নাগরিকদের ধরে নিয়ে বন্দি, গুম বা শিরচ্ছেদের ভিডিও প্রকাশ সবই বিশ্ববাসীর নিকট আইএসের প্রকৃতি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। আর এ কারণে আইএস বিস্তারে পশ্চিমা বিশ্বসহ সকলের এতো মাথাব্যাথ্যা। যদিও এদের উত্থান ও বিকাশে আমেরিকাসহ পশ্চিমা কিছু দেশের হাত রয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ। কেননা পূর্বের অভিজ্ঞতা আমাদের সেই কথাই জানান দেয় উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি ইরাকের সাদ্দাম হেসেন, আফগানিস্তানের মোল্লা ওমর, আর সৌদি বংশোদ্ভুদ ওসামা বিন লাদেন এই মার্কিন যক্তরাষ্ট্রেরই আবিস্কার আবার এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই এদের নিঃশেষ করার জন্য বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পুরো বিশ্বকে এদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে হত্যা করেছে। এসব ব্যক্তিদের চিরদিনের জন্য পঙ্গু করে দিয়েছে ও দিচ্ছে সেদেশের অবকাঠামো আর অর্থনীতিতে। যাদেরকে এতা ভয় আর অজুহাত তুলে পশ্চিমা বিশ্ব এসব করছে সেই আইএসসহ আল কায়েদা গত ক’ মাস আগে ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের শাখা খোলার ঘোষণা দিয়েছে আর এ সুযোগেই এ দেশে কোন হত্যাকান্ড সংঘটিত হলে আইএসসহ আর্ন্তজার্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের সম্পৃকতা অনুসন্ধান করার জোর দাবী তোলা হয় পশ্চিমা বিশ্বের পক্ষ থেকে; এর কারণ হিসেবে তারা যে যুক্তি উপস্থাপন করে তা হলো- জঙ্গিগোষ্ঠী মুলত ইসলাম ও ধর্মকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে আর বাংলাদেশ মুসলিম দেশ হওয়ায় এ বিষয়ে তাদের সন্দেহের অবকাশ। তবে আমাদের ধারণা সন্দেহ থেকে তারা বেশী গুরুত্ব দেয় এদেশ ও এ অঞ্চলকে। কারণ একটাই আগামী দিনের পরাশক্তি চীনকে তাদের অগ্রযাত্রায় বাধা দেওয়া আর আগামী দিনে বাংলাদেশ গভীর সমুদ্র থেকে যে তৈল- গ্যাস উৎপাদনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তাতে নিরঙ্কুশভাবে ভোগ করা। দূর থেকে যেহেতু এসব করা সম্ভব নয় তাই এ অঞ্চলে কোন অঘটনের অযুহাত দেখিয়ে তাদের সৈন্যেও উপস্থিতি আর ঘাটি বানাতে পারলেই একদিকে বাংলাদেশকে তাদের তাবেদারী রাষ্ট্র হিসেবে তৈরী করতে পারবে অন্যদিকে চীনকেও তাদের অগ্রযাত্রায় বাধা দেওয়া যাবে। ফলে এক ঢিলে দুই পাখি মারার ফন্দি। এটি করতে তারা বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদন ও জিএসপির মতো কিছু সুবিধা বন্ধ করে দিয়ে ‘আকসা’ ও ‘সোফা’-র মতো দুটি চুক্তিতে সই করতে যরপনাই চাপ দিয়ে যাচ্ছে। মাইকেল প্যারান্টির অমধরহংঃ ওসঢ়বৎরধষরংস গ্রন্থটি পড়লে এ বিষয়ে আরো বিষদ ধারণা পাওয়া যাবে। যাই হোক, গত ২৮ শে সেপ্টেম্বর থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত বাংলাদেশের সবর্ত্রই যে বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে তা হলো বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ব থাকা না থাকা, দুই বিদেশী হত্যাকান্ড, অস্ট্রেলিয়ার সফর বাতিল, এবং বিদেশী নাগরিকদের সর্তক হয়ে চলার রেড এ্যালার্ট। কিন্তু আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে- এই প্রেক্ষাপট কি একদিনেই সৃষ্টি হয়েছে নাকি পৃর্বের আমাদের কর্মের ফল? এইসবের পেছনে শুধুই কি বাংলাদেশ দায়ী নাকি বিদেশী চক্রান্ত বিদ্যমান? কেন অস্ট্রেলিয়া কোন নিদির্ষ্ট কারণ না দেখিয়ে তাদের পূর্ব নির্ধারিত সফর বাতিল করলো এর আগেতো তারা কখনো এই ধরনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি ? এই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার সময় এসেছে আজ তবে প্রথমেই খুঁজতে হবে কেন বা, কি প্রেক্ষাপটে আজকের বাংলাদেশে বিদেশীরা আতংকিত যেখানে কতকগুলো রাজনৈতিক দলের ডাকা হরতাল- অবরোধ আর সহিংসতা ছিলো প্রায় ৬ মাস ধরে তখন বিদেশীদের মনে কোন আতংক ছিলোনা হঠাৎ কেন একজন ইতালীয় নাগরিক হত্যার মধ্যদিয়ে এই আলোচনার সূত্রপাত হলো? কেনইবা জাপানী নাগরিক হত্যার মধ্যদিয়ে তার পৃর্ণতা পেল? এর আগে ২০১২ সালেওতো সৌদি কুটনৈতিক খালাপ হত্যা হয়েছিলো তখনতো এইধরনের আলোচনার সুত্রপাত হয়নি? । যাইহোক , প্রথমেই জেনে নেওয়া দরকার কিভাবে বাংলাদেশ এই অবস্থার শিকার হয়েছে তার প্রেক্ষাপট।
বাংলাদেশের সরকার, মন্ত্রী, বিরোধীদলের অনেক নেতা কর্মী, বিভিন্ন লেখক, কলামিস্ট এবং টকশোর বক্তরা গত ৮-১০ বছর জঙ্গি, জঙ্গিবাদ, প্রভৃতি নিয়ে কথা, বক্তব্য আর লেখালেখি করেছেন এমনও হয়েছে যে কোথায়ও কোন হত্যাকান্ড ঘটলে সেখানে জঙ্গিবাদের ধোয়াতুলে এসব হত্যাকান্ডকে বিদেশেীদের কাছে এদেশকে জঙ্গিবাদের কারখানা বলে পরিচিত করাতে চাইছিলেন অন্যদিকে আইনশৃঙ্গলা বাহিনীর কাজে যারা নিয়োজিত তারা কোন রাজনৈতিক দলের নেতাদের ধরে কিছু ধর্মীয় বই পেলেও একে জিহাদী বই বলে চালিয়ে দিয়ে দেশকে জঙ্গিবাদী হিসেবে পরিচিত করানোর ক্ষেত্রে অগ্রনীয় ভুমিকা পালন করেছেন। কোন কোন সময় রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত শত্রুতার বশে সরকারীদল- বিরোধীদলের নেতা- কর্মীদের পুলিশ ধরেছে এবং গ্রেনেডসহ বিভিন্ন বিস্ফোরক পেয়েছে বলে প্রতিনিয়ত ৫- ৭ টি ঘটনা রচিত হতো, এ ধরনের প্রচারণার ফলে বিদেশী রাষ্ট্র ও বিদেশী নাগরিকরা এদেশকে গ্রনেড আর বিস্ফোরকের দেশ হিসেবে অভিহিত করে এদেশ সর্ম্পকে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করবে না কেন? কেন বারবার সরকার, বিরোধীদল, মন্ত্রীবর্গ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করেছে করা হচ্ছে করবে এসব বক্তব্য দেয়া হয়েছে এরদ্বারা কি প্রমাণিত হয়না যে এদেশে জঙ্গি, জঙ্গিবাদ প্রভৃতির অস্তিত্ব রয়েছে না হলে তারা এধরনের বক্তব্য দিবেন বা এখনো দিয়ে যাচ্ছেন কেন? এক সময়ে সরকার জঙ্গি, জঙ্গিবাদ প্রভৃতির অভিযোগ তুলছেন জানিনা এটা কি তার ফল কিনা? অথ্যাৎ জঙ্গি, জঙ্গিবাদ বলতে বলতে জঙ্গিরা কি এদেশকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে মনে করেছে কিনা? আবার একের পর এক বিচাবর্হিভূত হত্যা বাংলাদেশী নাগরিকরা যেখানে আতংকিত সেখানে বিদেশী নাগরিকরা আতংকিত হবে না কেন? এসব কারণে কোন কোন বিশেষজ্ঞ বর্তমান পরিস্থিতিকে সরকার ও বিরোধীদলের দ্বারা সৃষ্ট বলে আখ্যা দিতে দ্বিধাবোধ করছে না। অর্থ্যাৎ তারা বর্তমান পরিস্থিতিকে নিমন্ত্রিত বলে আখ্যা দিতে চান আর সরকার ও বিরোধী দলেরই এই পরিস্থিতিকে আমন্ত্রণ করে জনগণকে আতংক আর বিশিষ্টজনদের উদ্বেগের মধ্যে রেখেছেন ফলে বর্তমান পরিস্থিতি ‘নিমন্ত্রিত অথিতি’ হিসেবে এসেছেন আর যাবেনই বা কবে তা গিন্নী নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেননা। আর এ সুযোগে দেশীয় কিছু চরমপন্থী এদশেকে অস্থিতিশীল করার বিদেশী চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে ।
যুক্তরাষ্ট্রে বসে প্রায় ৪৯ টি দেশে এ খবর পৌঁছে দেন ইসরাইল ভিত্তিক গোয়েন্দাসংস্থার এক প্রভাবশালী গোয়েন্দা কর্মকর্তা যদিও ইসরাইলের সাথে আমাদের কোন কুটনৈতিক সর্ম্পক নেই তবুও তাদের অপতৎপরতার কমতি নেই আর প্রশ্ন জাগে বাংলাদেশে মোসাদের কোন কর্মকর্তা বাংলাদেশে কাজ করছে কিনা? কেননা দুই বিদেশী হত্যাকান্ডের খবর আমাদের দেশীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানার আগে কিভাবে মোসাদের গোয়েন্দা কর্মকর্তা রিটসা পেলেন এবং তা অতিদ্রুত সারা বিশ্বে প্রচার করলেন!
সবশেষে, গত ২৮শে সেপ্টেম্বর ও ৩রা অক্টোবর যথাক্রমে ইতালী নাগরিক তাবেলা সিজারকে ও জাপানি নাগরিক হোসিও কোনিকে হত্যা এবং একই সময়ে চট্রগ্রামে পাচঁ জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার ও একজন গ্রেনেড বিস্ফোরোনে নিহত হওয়ার ঘটনা বিদেশীদের মনে সন্দেহের দানা বাধতে শুরু করে ফলে তারা তাদের নাগরিকদের সর্তকতার সাথে চলতে নির্দেশ দেয়। কিছু কিছু দেশ এই সর্তকতা তুলে নিলেও কিছু স্বার্থান্বেষী মহল এখনো এই সর্তকতা বহাল রেখে এদেশে বিদেশী সেনা অবতারণার সুযোগ খুঁজছেন! এবং ভৌগলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এদেশকে তাবেদারী রাষ্ট্র বানানোর পায়তারা করছে। অর্থ্যাৎ, এখানে যে দেশী বিদেশী চক্রান্ত জড়িত তা মোটামুটি স্পষ্ট কেননা, এমনও দেখা গেছে আমাদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে বিদেশীরা আমাদের দেশের দু- চারটি রাজনৈতিক দলকে জড়িয়ে কলাম লিখেছে এতে যে তাদের কোন স্বার্থ নেই তা আমরা নিশ্চিত নই কেননা তারা যদি সত্যিই আমাদের শুভকামী হতো তবে আমাদের এ সংকট উত্তরণে আমাদের কিছু পরামর্শ দিতো এবং যেসব দেশ আমাদের বিষয়ে উদ্যোগ আর শংকা জানিয়েছে তাদের বিভিন্ন ভাবে বাংলাদেশের ভারসাম্যপূর্ণ পরিস্থিতি বুঝিয়ে এদেশের সহায়তা করা। কিন্তু তারা তা না করে আমাদের জাতীয় স্বার্থকে আরো উস্কে দেওয়ার এবং আমাদের সম্প্রীতিকে নষ্ট করার অশুভ প্রতিযোগিতায় নেমেছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। আবার যুক্তরাষ্ট্রে বসে প্রায় ৪৯ টি দেশে এ খবর পৌঁছে দেন ইসরাইল ভিত্তিক গোয়েন্দাসংস্থার এক প্রভাবশালী গোয়েন্দা কর্মকর্তা যদিও ইসরাইলের সাথে আমাদের কোন কুটনৈতিক সর্ম্পক নেই তবুও তাদের অপতৎপরতার কমতি নেই আর প্রশ্ন জাগে বাংলাদেশে মোসাদের কোন কর্মকর্তা বাংলাদেশে কাজ করছে কিনা? কেননা দুই বিদেশী হত্যাকান্ডের খবর আমাদের দেশীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানার আগে কিভাবে মোসাদের গোয়েন্দা কর্মকর্তা রিটসা পেলেন এবং তা অতিদ্রুত সারা বিশ্বে প্রচার করলেন! অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের করা মন্তব্য “জঙ্গিদমনে বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র” আমাদের মনে প্রশ্নের অবতারণা করে কেননা, যেখানে একজন ব্লগার হত্যা হলো সেখানে তারা তদন্ত সংস্থা প্রেরণ করতে রাজী হলো কিন্তু এবার তদন্ত দল না পাঠিয়ে সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি আগে আসলো কেন? উপরোক্ত বিষয়গুলো থেকে বর্তমান পরিস্তিতির জন্য বিদেশী চক্রান্তকে কি প্রশ্নাতীতভাবে প্রমাণ করেনা?
যাইহোক, এ প্রেক্ষাপট থেকে আমাদের স্থায়ীভাবে উদ্যোগ নেওয়া দরকার যাতে পরবর্তীতে আমাদের এধরনের কোন সমস্যার আর উদ্বেগের সম্মুখীন আমাদের নাহতে হয় তাই প্রথমেই আমাদের দরকার এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা – বচন আর লেখালেখিতে জঙ্গিবাদ না বলে চরমপন্থী বলে উল্লেখ করে সামনে এগিয়ে যাওয়া, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের আর্ন্তজাতিক সংজ্ঞা নির্ধারণ, জিহাদী বইয়ের সংজ্ঞা নির্ধারণ,জিহাদী ও ধর্মীয় বইয়ের মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণ, কোন কোন অস্ত্রকে সাধারণ ও কোন কোন অস্ত্রকে বিস্ফোরক বলে অভিহিত করা যাবে তা নিণয় করণ এবং সর্বোপরি এ ধরনের সমস্যা হলে জাতীয় স্বার্থে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলা। কোন কোন চরমপন্থাীয় ঘটনা ঘটলে নির্দিষ্ট কোন দল বা, গোষ্ঠীকে দায়ী না করে বরং দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যবস্থা করা এবং তদন্তে যাদেরকে পাওয়া যাবে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা যতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুণরাবৃত্তি ঘটাতে কেউ না পারে। তবে যদি এভাবে কোন দল বা গোষ্ঠকে দোষারোপ করা হয় তবে এতোবেশী জনগোষ্ঠীর দলকে নিয়ন্ত্রণ ও দমানোর জন্য বিদেশীরাতো স্বার্থের সাহায্যের হাত বাড়াবেই তখন হযত আমাদেও কপালে আগানিস্থানের ভাগ্য বরণ করে নেওয়া ছাড়া অন্য কোন গন্তব্য থাকবেনা। তখন কবি নজরুলের কবিতার ছন্দে আমাদের হয়তো বলতে হবে -“দীঘল রাতের শ্রান্ত সফর শেষে কোন দরিয়ার কালো দিগন্তে আমরা পড়েছি এসে? শুধু গাফলতে শুধু খেয়ালের ভুলে, দরিয়া- অথই ভ্রান্তি নিয়াছি ভুলে, আমাদেরই ভুলে পানির কিনারে মুসাফির দল বসি , দেখেছে সভয়ে অস্ত গিয়াছে তাদের সেতারা শশী”।
পরিশেষে, দেশ- জাতি রাষ্ট্র আর সার্বভেীমত্ব রক্ষায় আমাদের সরকার- বিরোধীদল কোনো স্বার্থ না চিন্তা না করে একহয়ে কাজ করবে ও জনগনকে এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিবে এবং প্রয়োজনে নেপাল, মালদ্বীপ থেকে শিক্ষা নিতে হবে তবুও এদশের শান্তিপ্রিয় জনগণকে নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করবে এবং বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুন্ন রাখবে এই প্রত্যাশা সকল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি। এবং এবারের শান্তিতে নোবেল বিজয়ী বেলারুশের সাহিত্যিক আলেক্সিয়েভিচের কথা দিয়ে শেষ করি তিনি বলেন- আমি মানুষের ব্যাপারে আশাবাদী একইসুরে আমরাও বলতে পারি আমরাও পশ্চিমা বিশ্বের ষড়ষন্ত্রের রহস্য বের করে আনার ব্যাপারে সরকারের নিকট আশাবাদী।
লেখক: প্রভাষক, দর্শন বিভাগ, ফেনী সাউথ-ইস্ট ডিগ্রী কলেজ, ফেনী।







